ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির প্রতিবাদে এক বিধবা নারীর সংবাদ সম্মেলন

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

গোপালগঞ্জে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির প্রতিবাদে এবং বিয়ের দাবীতে ১৪নং করপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস.এম হাবিবুর রহমানের (সোনা মিয়ার) বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক বিধবা নারী।

আজ শুক্রবার (১৯আগস্ট) সকালে বনগ্রাম পশ্চিমপাড়া নিজ বাড়ীতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নাজমা বেগম। এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ৬ মাস পূর্বে এস, এম, হাবিবুর রহমান (সোনা মিয়া) আমার বাড়ীতে এসে বলেন, কৈশোর কাল হতে আমি তোকে ভালবাসি, এখনও তোমাকে ভালবাসি, আর যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন তোমাকে ভালবেসে যাবো। এমন কথা বলে চেয়ারম্যান আমার প্রতি বিশ্বাস তৈরী করেন। পরে আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, তোমার লোকজন নিয়ে আমার নির্বাচন করো এবং নির্বাচনের পর তোমাকে বিয়ে করব।

ওই নারী আরো বলেন, চেয়ারম্যান নির্বাচন কালিন সময় সুকৌশলে আমার কাছ থেকে দশ লক্ষ টাকা নেয় এবং বিয়ে করার মিথ্যা প্রলোভন দেয়। নির্বাচনের পর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারীরিক মেলামেশা করেন। সর্বশেষ গত ৩১ মে মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১১ টা ৩০ মিনিটে করপাড়া রুহুল আমিনের পরিত্যক্ত ফাঁকা বাড়ীর পুকুরের ঘটলায় ধর্ষণ করেন। এরপর থেকে তাকে বিয়ে করার কথা বললে তিনি আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।

চেয়ারম্যান আমার মান সম্মান নষ্ট করেছে এলাকায় মুখ দেখানো দায় হয়ে পড়েছে। তাই আমি বিয়ে করার দাবী করছি। তা না হলে আত্মহত্যা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় থাকবেনা।

এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ওই নারী গত ১৪ আগষ্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(১) ধারায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, গোপালগঞ্জে ১৪ নং করপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস, এম, হাবিবুর রহমানের (সোনা মিয়ার) বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে করপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান (সোনা মিয়া) মুঠোফোনে বলেন, আমাকে হেয় করতে নির্বাচনে পরাজিতরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। যাতে আমার চেয়ারম্যান শিপ চলে যায়। সে জন্য এই অভিযোগ করা হচ্ছে। ওই নারীর সাথে আমার কোন দিনই আর্থিক ও শারীরিক সম্পর্ক ছিল না। তবে নির্বাচনে ওই নারী আমার দল করেছেন, আমার জন্য ভোট চেয়ে আমার পক্ষে কাজ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ