২১আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহত ও আহতদের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

হোসেন মিন্টুঃ

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভির রহমানসহ ২২জন নিহত ও আহতদের স্মরণে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মানবিক যুব সংগঠক এম আর আজিমের উদ্যোগে আজ রোজ রবিবার বিকাল ৪ টায় চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুরস্থ আপন গার্ডেন কমিউনিটি সেন্টারে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত।

এসব কর্মসূচির মধ্য ছিল খতমে কুরআন, নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, আলোচনা এবং এতিম অসহায় ছাত্রদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ। নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মানবিক যুব সংগঠক এম আর আজিমের সভাপতিত্বে ও নগর যুবলীগ আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য যুব সংগঠক আসহাব রসূল চৌধুরী জাহেদের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগ আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য হাবিব উল্লাহ নাহিদ, ওমরগণি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আছিফুর রহমান মুন্না, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য কাজী রাজেশ ইমরান, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের বেসরকারি কারা পরিদর্শক ফারুকুল ইসলাম অঙ্কুর, যুব সংগঠক কাজী আলমগীর, আব্দুল জলিল বাহাদুর, মীর ইমরুল হাসান চৌধুরী রুবেল, জিল্লুর রহমান রায়হান, গোলাম ফোরকান, নগর ছাত্রলীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ফজলুল কবির সোহেল,

৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফখরুল আলম রিপন, নগর ছাত্রলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মোছলেহ উদ্দিন আহমদ শিবলী, কফিল উদ্দিন আহমেদ, মাসুদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নির্বাহী সদস্য আলী রেজা পিন্টু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক আবু সাঈদ সুমন, সাবেক ছাত্রনেতা ও যুব সংগঠক আদনান মাহফুজ সজিব, মনিরাজ, এসইউ জোবায়ের, সাঈদ রহিম, ফরিদুল আলম, শরীফ হোসাইন, নওশাদ আলম মুন্না, ইঞ্জিনিয়ার শিবলী সাদেক সোহেল,

সোহেল ইমরান, সানি দে, এপ্যালো বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি যথাক্রমে ফররম্নক আহমেদ পাভেল, একরামুল হক রাসেল, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক অমিতাভ চৌধুরী বাবু, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আবুল মনসুর টিটু, কবির আহমেদ, মিন্টু কুমার দে, নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সাব্বির সাকির, নগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য কামরুল হুদা পাভেল, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা আরিফ রশিদ,

চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৌরভ রায় অভিমুন্য, ছাত্রনেতা মিলন দাশ, ছাত্রলীগের তানজিব আহসান জিবু, রাহাত ইমরান, তৌহিদুল আলম বাবু, সজিবুর রহমান, তৌরাব হোসেন রাফী, দেলোয়ার হোসেন, ফরহাদ হক প্রমুখ। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ২০০১ সালের বিএনপি জামায়াত জোট সরকার গঠন করে তখন থেকে দেশে উগ্র ধর্মীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করে। সরকারী মদদে দেশকে একটি উগ্র জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেষ্টা করে।

এর কিছু দিনের মধ্যেই দেশে হিজবুত তাহ্‌রীর হরকাতুল জেহাদ জেএমবি সহ প্রভৃতি উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠী প্রকাশ্যে তাদের কর্মকা-পরিচালনা শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে পদ্মার অন্ত্মরালে অন্য আরেক ভয়াবহ পরিকল্পনা করেছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া জৈষ্ঠ্যপুত্র তারেক রহমানের হাতে। এ ভয়াবহ পরিকল্পনা হল বঙ্গবন্ধু কন্যা সংসদে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার নীল নক্‌শা প্রণয়ণের কাজ।

এ পরিকল্পনা সদর দপ্তর ছিল কুখ্যাত হাওয়া ভবন। তারেক রহমান গং সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, তৎকালী সহ-রাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, সংসদ সদস্য মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ সহ সরকারের কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন কর্মকর্তা এই নীল নক্‌শা প্রণয়ণের সাথে সরাসরিভাবে সম্পৃক্ত ছিল।

২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট সে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় ঘটনাস্থলে এবং হাসপালে ২৩জন নিহত হন এবং আহত হন প্রায় ৫০০ জন, যাদের মধ্যে ৩০০ জন কোন না কোনভাবেই পঙ্গু হয়ে যান আর আলস্নাহর অশেষ রহমতে ভাগ্যজোরে সে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা থেকে বেঁচে যান আমাদের প্রিয় নেত্রী তৎকালী বিরোধী দলীয় নেত্রী, গণতন্ত্রের মানস কন্যা শেখ হাসিনা। ২০০৯ সালের আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর এ তদন্ত শুরু হয়।

তদন্ত শেষে দ্রুত বিচারিক ট্রাইবু্যালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়, যার মধ্যে অন্যতম তারেক রহমান। এর বাইরে লুৎফুজ্জামান বাবর সহ ১৮ জনকে মৃতু্ দন্ডে দন্ডিত করা হয়। আমরা প্রত্যাশা করি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিদেশে পালিয়ে থাকা দ-প্রাপ্ত আসামীদের দ্রুত সময়ে দেশে এনে বিচারের রায় কার্যকর হবে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ