মিথ্যা তথ্য প্রদানের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে

রিয়াজুল হক সাগর,রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

গত ২৩ আগস্ট চেক দিয়ে অর্থ আত্মসাতের মামলার বিবাদী আশা মনি (৩২) স্বামী-আলম মিয়া, সাং-নুরপুর, থানা-কোতয়ালী মেট্রো, জেলা -রংপুর এর সাংবাদিক সম্মেলন এর প্রতিবাদে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন।

২৯ আগস্ট ২০২২ সোমবার, দুপুর ২টায় উক্ত পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলনে মোছাঃ ঝরনা বেগম (৩২) স্বামী মোঃ ফারুক, সাং-উত্তর নুরপুর, থানা-কোতয়ালী মেট্রো, জেলা -রংপুর ও মোছাঃ জাহানারা বেগম(৫৫), স্বামী-আঃ রহমান,
সাং-নুরপুর, থানা-কোতয়ালী মেট্রো, জেলা-রংপুর নিজ বসায় জানান-মোছাঃ আশা মনি(৩২) একই মহল্লায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করার সুবাদে পরস্পর ও পরস্পরকে চিনি ও জানি।

আমি একটি ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পে কর্মের সুবাদে সেখান থেকে ঋণ উত্তোলনের জন্য ২৪৫২/- টাকা সঞ্চয় বই মূলে জমা করে যা এখনো ঐ প্রকল্পে জমা আছে। প্রকৃত পক্ষে এত অল্প টাকার বিপরীতে কখনো দুই খানা চেক তিনি আমাকে প্রদান করেন নাই।

মূলত তার ভাষ্য অনুসারে তার স্বামী গাড়ি চালক এবং কোন দূর্ঘটনা জনিত সমস্যা হতে তাৎক্ষণিক উদ্ধার পাইবার জন্য এবং তাহার ছেলে মাদক মামলা জনিত বিষয়টির নিষ্পত্তির জন্য উপস্থিত পরিস্থিতিতে এই দুইখানা চেকের বিপরীতে নগদ টাকা ধার দিয়ে তাকে সহায়তা করি মাত্র। এই টাকা ধার লইবার সময় তিনি ২০আগস্ট পর্যন্ত তা ফেরত দেওয়ার সময় নেন।

কিন্তু তিনি টাকা ফেরত করার পূর্বেই আমার নামে চাকুরীর আশ্রয় নেয় উক্ত টকা আত্মসাতের প্রয়াসে চেকের মামলা দাখিল করেন। বর্তমানে তাহাকে গচ্ছিত টাকা ধার দিয়ে আমি ও আমার পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করিতেছি।

অপর দিকে মোছাঃ জাহানারা বেগম(৫৫), স্বামী- আঃ রহমান, সাং-নুরপুর, থানা-কোতয়ালী মেট্রো, জেলা-রংপুর পৈতৃক সূত্রে কুড়িগ্রাম নিবাসী হওয়ায় সেই খানে পৈতৃক সম্পত্তির ভাগ স্বরূপ নগদ ৮লক্ষ টাকা প্রাপ্ত হন।

এই বৎসরের প্রারম্ভে এই বিষয়টি পরিচিত সুবাদে উক্ত মোছাঃ আশা মনি জানতে পারেন, তিনি ছল চাতুরীর আশ্রয় নিয়ে মোছাঃ জাহানারা বেগমের পিছু নেন এবং বলেন যে, তার স্বামী গাড়ি চালক হবার সুবাদে নগদ ১২লক্ষ টাকা পাইলে একটি মাইক্রো বাস ক্রয় করতে পারবেন।

সেই ক্ষেত্রে আর ভাড়া বা অন্য মহাজনের গাড়ি চালাতে হবেনা। বরং ঐ গাড়ি চালিয়ে আয়কৃত অর্থ হতে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে সমুদয় টাকা ফেরত করবেন। এমতাবস্থায় তার অনুনয় বিনয়ে ভুলিয়ে গিয়ে ঐ ৮লক্ষ টাকার সহিত তার জমানো বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্ট ও সংস্থার ডিপিএস ভাঙ্গাইয়া তাকে ১২লক্ষ টাকা প্রদান করেন।

এসময় মোছাঃ আশা মনি আন্তরিকতা ও বিশ্বস্ততার সূত্রে একটি চেক তাকে প্রদান করেন। মোছাঃ জাহানারা বেগম(৫৫) অশিক্ষিত হওয়ায় তার চাতুরী ধরিতে পারে নাই। পরবর্তী সময় অতিবাহিত হতে থাকিলে এবং লোকমুখে কানাকানি হতে থাকলে জানা যায় যে, তিনি এই রূপ হতে ঐ এলাকায় বহু লোকের কাছ থেকে বিভিন্ন কায়দায় বহু পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

আদালত এবং রাষ্ট্রের নাগরিকগণ চাইলে সঞ্চয়, জমি বিক্রয় হতে অর্থ এবং বিভিন্ন সংস্থার জমানো টাকা তার উদ্দেশ্যে উত্তোলন করেছি। তার প্রমাণ পত্র দাখিল করতে পারব। এবং ঐ এলাকার আরো যাদের সহিত তিনি চলচাতুরী করেছেন, তাদেরও সাক্ষী হিসেবে হাজির করতে পারব।

সুতরাং আমি মোছাঃ ঝরনা বেগম এবং মোছাঃ জাহানারা বেগমের নামে করা মিথ্যা মামলা অতি সত্ত্বর প্রত্যাহার করে, পাওনা অর্থ ফেরতের জন্য জোর দাবী জানাই।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ