বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের কেউ নয়—বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকী

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের কেউ নয়। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের পিতা, বিএনপির পিতা, জাতীয় পার্টির পিতা, জামাতেরও পিতা। যে সন্তান পিতাকে সম্মান করতে পারে না, সে সু-সন্তান হতে পারে না। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সম্পত্তি নয়। বিএনপিসহ সকল দল ও সকল মানুষের সম্পত্তি। আওয়ামী লীগ করলেই বঙ্গবন্ধুর প্রেমিক, না করলে বঙ্গবন্ধুর বিরোধী এটা ঠিক না। বঙ্গবন্ধুর উপর আল্লাহ’র বিশেষ রহমত ছিলো বলে তিনি আপামর জনগনকে একত্রিত করতে পেরেছিলেন।

আজ মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিকাল ৫টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

২০ দলীয় জোটে যোগ দেয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি জোটে গিয়েছিলাম কামাল হোসেনকে দেখে। যখন তারা নুন চাল করেছে, বলেছে পার্লামেন্ট অবৈধ ভোট হয় নাই। তখনও তারা তাদের ৮ জন সদস্যকে শপথ পরিয়ে সংসদে নাচানাচি করছে। তখন সেই মুহূর্তে আমি ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু পরে আমি সেখান থেকে চলে এসেছি। আমি বুঝেছিলাম কামাল হোসেন বড় মানুষ, সুন্দর মানুষ কিন্তু নেতা নন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে বঙ্গবীর বলেন, আজকে এমন এমন আওয়ামী লীগার পাওয়া যায়। যারা জান্নাতের বদলে বঙ্গবন্ধুর জাহান্নাম কামনা করে। এখনো তারা বেঁচে আছে। খেতে খেতে মোটা হয়েছে। সে বঙ্গবন্ধুর জান্নাতের বদলে জাহান্নাম কামনা করেছে। মরে যাই, এইভাবে আর যা কিছুই চলুক দেশ চলতে পারে না। যারা বঙ্গবন্ধুর জাহান্নাম কামনা করেছে তাদেরকে কি দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে? সেই মুহূর্তে দল থেকে বের করে দেয়া উচিত ছিল, কিন্তু দেয় নাই।

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে কর্মতদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর ভক্ত আমাদেরও দোষ আছে। অন্যকে সম্মান করতে আমরা পরাধিতা করি। আজকে দেখলাম আমি দাঁড়িয়ে আছি কয়েকটা চ্যাংড়া ছবি তুলতে বাঁধা দিল। যখন প্রধানমন্ত্রী আসেন তখন ছবি তুলতে বাঁধা দাও না। মানুষকে সম্মান করতে শেখো।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, করোনার কারণে গত তিনটা বছর মানুষের কাছে যেতে পারি নাই, পিতার কবরে আসতে পারি নাই। আর কোনদিন আসা হবে কিনা জানিনা। এখান থেকে ফিরে যেতে যেতে আল্লহ নিয়ে যাবেন কিনা জানিনা। আমরা খালাসনিয়তে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আল্লাহ যেন আমার নেতাকে আমার পিতা কে তার পরিবারসহ শান্তিতে রাখেন, জান্নাতবাসী করেন।

এর আগে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদিতে পুস্পমাল্য অর্পন করে গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এসময় দলীয় নেতার্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ