প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে পৌঁছেছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে পৌঁছেছেন
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃ
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপকি শেখ হাসিনা ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে লন্ডনে পৌঁছেছেন। তিনি রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে এখন যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে এক সরকারি সফরে রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপকি শেখ হাসিনা এবং তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট স্থানীয় সময় ৪টা ৪৫ মিনিটে লন্ডন স্টানস্টেড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান-যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাঈদা মুনা এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামা লীগ, যুব লীগ, ছাএলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ প্রবাসী বাংগালিরা।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইটটি সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
সফরের দ্বিতীয় দিন ১৬ সেপ্টেম্বর কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর অবস্থানকালীন হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরে যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও)-এ দক্ষিণ এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা, জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড আহমদ সেখানে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করবেন।
১৭ সেপ্টেম্বর, যুক্তরাজ্যের বিরোধীদলীয় এবং লেবার পার্টির নেতা স্যার কেইর স্টারমার প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী ১৮ সেপ্টেম্বর বাকিংহাম প্যালেসে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে যুক্তরাজ্যের রাজার এক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। একই দিন সন্ধ্যায়, বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে নিউইয়র্কের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি লন্ডন ত্যাগ করবেন।
নিউইয়র্ক এর জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আব্দুল মুহিত এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, যুব লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযাদ্ধের পক্ষের সংগঠন সমুহ।
২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের আয়োজিত সংবর্ধনা এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন। এছাড়াও তিনি ইউএনএইচসিআর-এর ফিলিপো গ্রান্ডি এবং স্লোলোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বরুত পাহোরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। একই দিন তিনি নারী নেত্রীদের ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্মেও যোগ দিবেন। দিনের শেষে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত সংবর্ধনাতেও যোগ দিবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
২১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র ও ইউএন হ্যাবিট্যাটের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য উচ্চ পর্যায়ের টেকসই আবাসন শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। একই দিন, তিনি ডব্লিউইএফ এর নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর শোয়াব ক্লাউসের সাথে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন এবং গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ (জিসিআরসি) চ্যাম্পিয়নস মিটিংয়ে যোগ দেবেন। বিকেলে, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদরদপ্তরে পদ্মা সেতুর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করবেন।
এরপর তিনি কসোভোর প্রেসিডেন্ট ড. ভজোসা ওসমানি-সাদ্রিউ, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো মেন্ডোজা এবং রাবাব ফাতিমার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২২ সেপ্টেম্বর দিনটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) এর উপর একটি প্রাতঃরাশ বৈঠকে অংশনিবেন এবং আইওএম মহাপরিচালক আন্তোনিও ভিটোরিনোর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সাথে একটি উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেবেন। পরে, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামদেচ আক্কা মোহা সেনা প্যাদেই তেকো হুন সেন এবং আইসিসির প্রসিকিউটর নিক ক্লেগ এবং করিম খানের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
২৩ সেপ্টেম্বর, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। এছাড়া, ২৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশীদের আয়োজনে একটি নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দিবেন। এতদিন বিকালে তিনি ওয়াশিংটনে যাবেন।