হয়রানিমুলক মিথ্যা মামলায় সাংবাদিকের জামিন

আদালত সংবাদদাতাঃ

মিথ্যা মামলা দিয়ে জমি-জমা দখল, হয়রানি ও উদ্দেশ্যমুলক ফাঁসানোর মামলায় এক সাংবাদিকের আগাম জামিন মনজুর করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসাইন ও বিচারপতি মোঃ বজলুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ ২১ সেপ্টেম্বর এ আগাম জামিন মনজুর করে।

মামলার বাদী তার এজাহারে “আমিলাইষ কাঞ্চনা বঙ্গ চন্দ্র ঘোষ ইনস্টিটিউট” “উত্তর বানমডাঙ্গা সেভেন স্টার ক্লাব”, “নাগরিক সমাজ”, “আমিলাইষ ডট কম”, “ইউনিটি ফোরাম দক্ষিণ চরতী” নামীয় ফেইসবুক পেইজ ও পাঁচ জন ব্যক্তি মোঃ ইউছুফ ও শাহজাহান গংদের নামে মিথ্যা ও আক্রমনাত্মক পোস্ট ফেসবুক পেজ ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ আনে।

এ সম্পর্কে উক্ত “আমিলাইষ কাঞ্চনা বঙ্গ চন্দ্র ঘোষ ইনস্টিটিউট” এর প্রধান শিক্ষক মাহফুজুর রহমান জানান, তিনি তাদের প্রতিষ্ঠানের ফেইসবুক পেইজ বাদী বর্ণিত উক্ত কোন পোস্ট ছড়ানো কথা অস্বীকার করেন। তিনি পুরোটাই মিথ্যা ও সাজনো বলে জবাব দেন। তিনি আরো বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠান কেনইবা “ইকবাল সোহেল মাদাইয়ার” মায়ের নামে মিথ্যা গুজব ছড়াবে। তিনি এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেবেন বলে জানান।

আমিলাইষের সাবেক ইউ.পি. চেয়ারম্যান মৌং মইন উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উনার (সাবেক ইউ.পি. চেয়ারম্যান) ও উনার ভাইদের আঠার গন্ডা জমি অবৈধভাবে নামজারী করে মোহাম্মদ মুছা গংয়েরা। তিনি আরো জানান এ নিয়ে মোহাম্মদ মুছা গংদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে বলে জানান।

জানা যায়, জেলার সাতকানিয়া উপজেলার আমিলাইষ ১ নং ওয়ার্ডের আনোয়ারা বেগমের ছেলে ইকবাল সোহেল প্রকাশ “মাদাইয়া” জায়গা জমি ও ঘর বাড়ি দখলের জন্য জনৈক সাংবাদিক মোহাম্মদ ইউছুফসহ হাফেজ ইদ্রিসের পুত্র শাহজাহান, শাহ রিয়াজ,মোঃ ইলিয়াছ, স্থানীয় নুর নবীর পুত্র মোঃ ইসমাইল ও তাদের ভাইদের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। সে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে জায়গা জমি দখলে লিপ্ত রয়েছে।

এক পর্যায়ে অভিযোগকারী উক্ত ব্যক্তিদের নামে মিথ্যা আক্রমণাত্মক মানহানিকর তথ্য প্রচার করে আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগে আনে। বিবাদীগণ দীর্ঘদিন যাবৎ বাদীর পৈত্রিক বাড়ি ভিটা জমি-জমা ও ফসলি জমি অবৈধভাবে দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ আনে। যার খুলশী থানার মামলা নং ৫, তাং ৪/৯/২২।

মামলায় বর্ণিত সাতকানিয়া নিবাসী ” আনোয়ারা বেগমের” স্বামী মনির আহমদ, সে খাগরিয়ার আমিরখীল নামীয় এলাকার অধিবাসী। মনির আহমদের সন্তানেরা মোজাফ্ফর আহমদ, জাফর আহমদ, কহিনুর আকতার গংদের মাতা আনোয়ারা বেগম ও তাদের পিতা মনির আহমদ সরকারী তালিকায় লিপিবদ্ধ হয়ে প্রচার হয় বলে সথানীয়রা জানান।

তদন্তে জানা যায় নির্বাচন কমিশনের হাল নাগাদ ভোটার তালিকা মতে বর্ণিত “আনোয়ারা বেগম” চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানার খাগরিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার এলাকা নম্বর-২৩৭২ এর (পুরুষ) লিস্টের সিরিয়াল নম্বর- ১২৪ ও ১৪১ মতে “আনোয়ারা বেগম” এর ছেলেদের নাম-মোজাফ্ফর আহমদ ও জাফর আহমদ, এর পিতা-মনির আহমদ, মাতা-আনোয়ারা বেগম ও ভোটার এলাকা নম্বর- ২৩৬৪ এর (মহিলা) লিস্টের সিরিয়াল নম্বর ০১৫ মতে “আনোয়ারা বেগম” এর মেয়ের নাম-কহিনুর আকতার এর পিতাঃ-মনির আহমদ, মাতা-আনোয়ারা বেগম শুদ্ধভাবে লিপিবদ্ধ করে প্রকাশ করা হয়।

তাছাড়া আরো দেখা যায়, উক্ত ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার এলাকা নম্বর-২৩৬৪ এর (মহিলা) লিস্টের সিরিয়াল নম্বর ২২৯ মতে আনোয়ারা বেগমের নাতনীর নাম-তানজিলা সুলতানা, মাতা: কহিনুর আকতার; ও উক্ত ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার এলাকা নম্বর- ২৩৬৪ এর (পূরুষ) লিস্টের সিরিয়াল নম্বর ২৫৪ মতে “আনোয়ারা বেগম” এর নাতির নাম-আমিনুল ইসলাম মাতা: কহিনুর আকতার শুদ্ধভাবে লিপিবদ্ধ করে প্রকাশ করা হয়।

আইন ও ধর্মীয় বিধান মতে একজন মহিলার স্বামী একটায় থাকিবে। লিস্টে দেখা যায় আনোয়ারা বেগমের স্বামী মনির আহমদ ও অপর দিকে মামলার বাদী এজাহারে তার মায়ের নাম আনোয়ারা বেগম ও পিতা আবদুল গণী উল্লেখ করেন।

সরকারের বিধান মতে বিবাহ বন্ধনে “নিকাহনামা” আবশ্যিক হলে ও আনোয়ার বেগমের কোন নিকাহনামা নাই। চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, বিবাহ সনদ না দিয়ে “আনোয়ারা বেগম” কিভাবে ভুয়া NID তৈরী করছে।অভিযোগ পেলে তা তদন্ত করে দেখার কথা জানান ।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ