জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচিত হলো লায়ন গনি মিয়া বাবুল
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচিত হলো লায়ন গনি মিয়া বাবুল
হোসেন মিন্টুঃ
সাংবাদিক ও কলাম লেখক লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় প্রধান উপদেষ্টা পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
২৫ সেপ্টেম্বর (রবিবার) সকালে ঢাকার মুগদার রমনা চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাধারণ পরিষদ সম্মেলনে সংগঠনের বিধি মোতাবেক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মুহম্মদ আলতাফ হোসেন তাকে এই পদে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য যে, লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল ১৯৯৩ সাল থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে স্বীয় দায়িত্ব প্রশংসার সাথে পালন করে আসছেন।
তিনি ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত গাজীপুর জেলা শাখা সংস্থার সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত সংস্থার স্থায়ী পরিষদের সদস্য সচিব ছিলেন, ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সংস্থার কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি ২০১৬ সাল থেকে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার স্থায়ী পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তিনি জাতীয় সাংবাদিক পরিষদেরও প্রধান উপদেষ্টা এবং প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া ক্রাইম ডায়রি ও জাতীয় সাপ্তাহিক গোয়েন্দা ডায়রির প্রধান উপদেষ্টা।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমে একটি পরিচিত নাম লায়ন গনি মিয়া বাবুল। তিনি গাজীপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক গণমুখ (তৎকালীন সাপ্তাহিক) পত্রিকায় ১৯৮৭ সালে সাংবাদিকতা শুরু করেন।
পরবর্তীতে দেশের বহুপ্রচারিত দৈনিক খবর পত্রিকায় তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত প্রশংসার সাথে স্বীয় দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন। তিনি দৈনিক প্রভাত, দৈনিক প্রাইম, দৈনিক মুক্তসংবাদ, দৈনিক জনসংবাদ, বার্তা সংস্থা ফেয়ার নিউজ সার্ভিস-এফএনএস প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিক হিসেবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বর্তমানে তিনি দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিরাপদ নিউজ ডটকম এ যুগ্ম সম্পাদক এবং বাংলাদেশ সংবাদের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি দৈনিক ভোরের সময়ের উপদেষ্টা ও সাপ্তাহিক ঝুমুর পত্রিকার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল ১৯৭১ সালের ৬ মে গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের টেপিরবাড়ী গ্রামে এক প্রতিষ্ঠিত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ ইসমাইল হোসেন ও মহিয়সী নারী আয়েশা খাতুন দম্পতির সন্তান গনি মিয়া বাবুল। তার নিজ এলাকায় মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ, শিশু গণশিক্ষা কেন্দ্র, পাঠাগার প্রভৃতি জনহিতকর প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি ১৯৮৭ সাল থেকে সাংবাদিকতার সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন।
সংবাদপত্র ও সংবাদকর্মীদের পৃষ্ঠপোষকতায় তার রয়েছে বিশেষ অবদান। তিনি বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, গাজীপুর জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান উপদেষ্টা, গাজীপুর প্রেসক্লাবের অন্যতম দাতা সদস্য, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার স্থায়ী পরিষদের চেয়ারম্যান, তিনি সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক প্রদত্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেলভিন জোন ফেলো- এমজেএফ সম্মাননা পদক ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় ট্রাব সম্মাননা পদকসহ শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে শতাধিক সম্মাননা পদকে ভূষিত হয়েছেন।
শিক্ষা বিস্তারে তার রয়েছে বিশেষ অবদান। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি অসহায় মানুষের সহায়তায় তিনি নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন।
মেধাবী গনি মিয়া বাবুল বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে চাকরির নিয়োগপত্র পাওয়ার পরেও তিনি যোগদান করেননি। মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকতাকে তিনি বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে।
তিনি বিশ্বাস করেন, ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সব ধর্মের মানুষ কাধে কাধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরেছিল। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ, ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জ্বতের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি লাল সবুজের বাংলাদেশ। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সর্বস্তরে বাস্তবায়ন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি।
বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক এবং আন্তজার্তিক দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় এপর্যন্ত তার সহস্রাধিক প্রবন্ধ বা কলাম ছাপা হয়েছে। গদ্য-পদ্যে সমানতালে দখল তার। সভা-সেমিনারে সমসাময়িক বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি।
সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজ- দেশের উন্নয়ন, মানবাধিকার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় লায়ন গনি মিয়া বাবুলের রয়েছে অসামান্য অবদান। সামাজিক অপরাধরোধে ও মানবাধিকার উন্নয়নে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় প্রধান উপদেষ্টা মনোনীত হওয়ায় বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সূত্রঃ ক্রাইম ডায়রি।