উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙ্গনের তান্ডব নিমিষেই বসতভিটা বিলীন হচ্ছে
উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙ্গনের তান্ডব নিমিষেই বসতভিটা বিলীন হচ্ছে
নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
ব্রম্মপুত্রের নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে পুরাতন বসতভিটা, আবাদি জমি, গাছপালা ও মসজিদ বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে মোল্লাহাট বাজার প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার। এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে ছুটছে ভুক্তভোগী লোকজন।
শুক্রবার ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লারহাট সংলগ্ন রসুলপুর গ্রামে ব্রম্মপুত্রের তীরে ভাঙ্গনের এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে ব্রম্মপুত্রের ভয়াবহ ভাঙ্গনের তান্ডবে প্রায় ১৫ টি পরিবারের বসতভিটা, স্থানীয় মুসল্লীপাড়া জামে মসজিদ, গাছপালা, আবাদি জমি বিলীন হয়ে গেছে হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবারের বসত বাড়ি ও মোল্লার হাট বাজার।
ভাঙ্গনের শিকার আব্দুল খালেক, নুরআলম গোলজার মহুবর, কুদ্দুছমন্ডল আজিজুল হক সহ ভুক্ত ভোগিরা জানান, রাতথেকে প্রচন্ড ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় কয়েকজন ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়া হলেও আসবাব পত্র চলে যায়।
ব্রহ্মপুত্র নদির পেটে ইতিমধ্যে দফায় দফায় ভাঙ্গনে ভিটে মাটি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকে তাদের পুনর্বাসন করা হয়নি। ভাঙ্গন ঠেকানোর কোন উদ্যোগ নেই। নদী ভাঙ্গনে বিলীন হওয়াই যেন নিয়তি।
পূর্নবাসনের আশা নেই বললেই চলে। ভাঙ্গনের সম্মুখীন হারুন, দুলাল, ছাত্তার জানান সারারাত ঘুম ধরে না, সব সময় ভয়ে আতঙ্কে থাকি এই বুঝি বাড়ী ভাইঙ্গা পাড়ে নদীতে কোথায় গিয়ে আশ্রয় নিব দিশা (বুঝতে) পারছিনা। ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া জানান, কিছু ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
গত দুই সপ্তাহের ভাঙ্গনের শিকার পরিবারের তালিকা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে নবাগত উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন রাংসার সাথে মুঠোফোন জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা হয়েছে। পূজার বন্ধ তারপরও আমি ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় আগামীকাল পরিদর্শনে আসার কথা রয়েছে।