শান্তি ও মানবতার মুক্তির মিশন নিয়েই পৃথিবীতে মহানবীর (দ.) আবির্ভাব ঘটে
শান্তি ও মানবতার মুক্তির মিশন নিয়েই পৃথিবীতে মহানবীর (দ.) আবির্ভাব ঘটে
হোসেন মিন্টুঃ
বর্বরতা ও হানাহানির বিপরীতে শান্তি, ইনসাফ, সাম্য, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা ও মানবতার মুক্তির মিশন নিয়ে পৃথিবীতে মহানবীর (দ.) আবির্ভাব ঘটেছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বর্বর অসভ্য মানুষের সামনে ইসলামের আলো দেখান ও সঠিক রাস্তার সন্ধান দেন তিনি। মহানবীর (দ.) আগমনে পৃথিবীতে শান্তি নেমে আসে, মানুষ পায় মুক্তির দিশা।
বক্তারা আরো বলেন, মহানবীর (দ.) শুভাগমনে আনন্দ-খুশির প্রকাশই হচ্ছে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.)। মহানবীর (দ.) দুনিয়ায় শুভাগমন মানবজাতিসহ সমস্ত সৃষ্টিজগতের জন্য আল্লাহ পাকের বিশেষ অনুগ্রহস্বরূপ। তাই, আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া প্রকাশের জন্যই আমরা ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদ্যাপন করি।
পবিত্র জশনে জুলুছ ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন পরিষদ ও সবস্তরের সুন্নী জনতা আনোয়ারা ৪নং বটতলী ইউনিয়নের ব্যবস্থাপনায় বটতলী হযরত শাহ্ মোহছেন আউলিয়া (রহঃ) দরবার শরীফ সংলগ্ন ময়দানে ‘জশ্নে জুলুছ ও রহমাতুল্লিল আলামীন কনফারেন্স’ এ বক্তারা এসব কথা বলেন।
হযরত শাহ্ মোহছেন আউলিয়ার মাজার জিয়ারত শেষে জশ্নে জুলুস বটতলীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শাহ্ মোহছেন আউলিয়ার মাজার প্রাঙ্গণে জামায়াত হয়। প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুল মোমেন আনোয়ারীর (মু.জি.আ.) সভাপতিত্বে ও মুহাম্মদ আরিফ মঈন উদ্দীনের (মনির) সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ৪নং বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম.এ মান্নান চৌধুরী।
উদ্বোধক ছিলেন হযরত শাহ্ মোহছেন আউলিয়া দরবার শরীফের মোতোয়াল্লী আলহাজ্ব মুহাম্মদ ফজলুল করিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জশনে জুলুছ উদযাপন পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন। রাহমাতুল্লিল আলামীন কন্ফারেন্সে আলোচনায় অংশ নেন শাহ মাবুদিয়া আজিজিয়া দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন পীরে ত্বরিকত আলহাজ্ব আল্লামা আব্দুর রহিম আল কাদির (মু.জি.আ)।
ওষখাইনীরি নূরীয়া বিষু দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন পীরজাদা আল্লামা মীর মুহাম্মদ মঈনদ্দীন নূরী ছিদ্দিকী ওষখাইনগিরি (মু.জি.আ.), কুতুবদিয়া শরীফ দরবার সাজ্জাদানশীন আল্লামা শাহ্জাদা শাহ্ জিল্লুল করিম আল কুতুবী (মু.জি.আ), দরবারে হাশেমীয়া আলিয়া শরীফের সাজ্জাদানশীন শাহ্জাদা আলহাজ্ব মুহাম্মদ আবুল ফোরকান হাশেমী (মু.জি.আ.)।
দেশের মঙ্গল কামনায় মোনাজাত পরিচালনা করেন দরবারে হাশেমী আলীয়ার সাজ্জাদানশীন পীর ত্বরিকত শাহ্জাদা আলহাজ্ব কাজী মাওলানা মুহাম্মদ জিয়া উদ্দীন হাশেমী (মু.জি.আ.)।
আরো উপস্থিত ছিলেন মাওলানা হাজী আহমদ উল্লাহ, মাষ্টার মুহাম্মদ আবু তাহের, আলহাজ্ব মুহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ, মাওলানা মুহাম্মদ মনির আহমদ আনোয়ারী, মাওলানা এস.এম আসহাব উদ্দীন, আলহাজ্ব মাওলানা কামাল উদ্দীন আল-ক্বাদেরী, মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ মনছুরুল হক আল-ক্বাদেরী, মাওলানা ইদ্রিস ফারুকী, মাওলানা শাহাজাহান সিরাজী, মাওলানা আবদুর রহিম আলকাদরী, মাওলানা ফরিদুল আলম জালালী, হাজী মুহাম্মদ নাছির উদ্দীন আমজাদী, শায়ের মুহাম্মদ মাসুম, শায়ের মুহাম্মদ রুহুল আমিন, এস.এম মহিউদ্দিন আনিস, ডা.মুহাম্মদ ইউচুপ,
মুহাম্মদ জাহেদুল হক মাইজভান্ডারি, মুহাম্মদ আনসার, সৈয়দ মুহাম্মদ আজাদ, আশরাফুল আলম, নাহিয়ান, রিমন আহমেদ, মুহাম্মদ রিদয়, মুহাম্মদ টিপু, হাফেজ মুহাম্মদ জাবেদ, মুহাম্মদ আরমান সিহাব, মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মুহাম্মদ তাকিবুর রহমান সিহাব, মুহাম্মদ নেজাম উদ্দীন, মাওলানা মুহাম্মদ ফারম্নক, মাওলানা নুর মুহাম্মদ আল কাদেরী, হাফেজ দেলোয়ার হোসেন, মুহাম্মদ হাসান সাগর, মুহাম্মদ খোরশেদ, মুহাম্মদ মনির উদ্দীন, মুহাম্মদ ইমতিয়াজ, মুহাম্মদ আরিফ, মুহাম্মদ রেজাউল করিম, হাফেজ আবু তাহের, মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, হাফেজ মুহাম্মদ ফারুক, মাওলানা ছগির, মুহাম্মদ মামুন, মুহাম্মদ সোমন, মুহাম্মদ সোহেল, মুহাম্মদ রিফাত, মুহাম্মদ সোহান, মুহাম্মদ ইকবাল মাইজভান্ডারি, মুহাম্মদ সেলিম মাইজভান্ডারি, মুহাম্মদ সাজ্জাদ, মুহাম্মদ আলী আকবর, মুহাম্মদ সাইয়ুম, মুহাম্মদ মামুন, মুহাম্মদ সাকিব প্রমুখ।