বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মের আজকের প্রতি ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপূজার আয়োজন
বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মের আজকের প্রতি ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপূজার আয়োজন
শ্রীঃ মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের পটুয়াখালী জেলার প্রতি ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপুজার আনন্দে ভাসছেন বারহাট্টায় ভক্তরা ‘সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির দেবী বলা হয় লক্ষ্মী দেবীকে, সেই লক্ষ্যেই আরাধনা করা হয় তাঁকে। লক্ষ্মী দেবীকে হিন্দু শাস্ত্র মতে ধনসম্পদের দেবী বলা হয়।’
শারদীয় দুর্গোৎসবের আনন্দ কাটিয়ে এবার আজ রবিবার ধনদেবী লক্ষ্মী পুজা। ঘরে ঘরে মহিলারা সারাদিন উপবাস করে রাতে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজা করবে। লক্ষ্মী দেবীকে সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির দেবী বলা হয়, সেই লক্ষ্যেই আরাধনা করা হয় তাঁকে।
সনাতন ধর্মালম্বীদের মতে, মা লক্ষ্মীকে ধনসম্পদের দেবী। কোজাগরীর দিন ঘরে ঘরে তাঁকে পুজো করা হয়। আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমা তিথিতেই লক্ষ্মীপুজা হয়। ধন, খ্যাতি, যশ, সুস্বাস্থ্যের জন্য কোজাগরী লক্ষ্মীপুজা করেন মানুষ।
হিন্দু শাস্ত্রমতে, লক্ষ্মীর কৃপা সম্পূর্ণ রূপে পেতে হলে এমন কিছু কাজ রয়েছে যা লক্ষ্মীপুজার দিন করলে তিনি সন্তুষ্ট হন। লক্ষ্মী হলেন আদিশক্তির সেই রূপ, যিনি বিশ্বকে বস্তুগত সুখ প্রদান করেন।
শাস্ত্রমতে সমৃদ্ধি, অর্থ, দ্রব্য, রত্ন এবং ধাতুর অধিপতি দেবীকে বলা হয় লক্ষ্মী। শাস্ত্রজ্ঞরা বলেন, লক্ষ্মী লাভের কিছু উপায় আছে, যা করলে তিনি প্রসন্ন হন এবং তার কৃপা বর্ষণ করেন।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে, এদিন রাত জেগে ঘর আলো করে যে বসে থাকেন, তার ঘরেই লক্ষ্মীর প্রবেশ ঘটে। এদিন ভক্তদের আশীর্বাদ দান করতেই মর্তে নেমে আসেন দেবী লক্ষ্মী। এই তিথিতে যাঁরা রাত জেগে দেবীর আরাধনা করেন, অপেক্ষায় থাকেন, দেবী তাকে বিশেষ কৃপা করেন। এদিন সকলেই নিজের সাধ্য মত লক্ষ্মীপুজা করে থাকেন।
আজ প্রতি দুর্গা মন্দিরে লক্ষ্মীপুজা আয়োজন করা হবে। এদিন ছোট ছেলে-মেয়েরা আনন্দ খেলার আয়োজন করে থাকে। আনন্দে মেতে উঠে ভক্ত বৃন্দরা।