নাটোরে খেজুরের রস সংগ্রহে চাষিদের ব্যস্ততা
নাটোরে খেজুরের রস সংগ্রহে চাষিদের ব্যস্ততা
রেজাউল করিম,রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরোঃ
নাটোর শহর ও গ্রামে হেমন্তেই খেজুর রস সংগ্রহের জন্য গাছ প্রস্তুত করছেন গাছিরা। প্রতিটি ঋতু আসে প্রকৃতিতে অপরূপ রূপের পসরা নিয়ে। ঋতু পরিক্রমায় ছয়টি ঋতুতে শীত আসে হেমন্তের পরে, প্রকৃতিতে হেমন্তকাল চললেও শীতঋতু তার নিজস্ব বৈশিষ্ট নিয়ে আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে। ঋতুর আগমনে এক শ্রেণির মৌসুমি ব্যবসায়ি সম্প্রদায়ের মাঝে প্রাণচাঞ্চাল্য লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে শীতের অন্যতম অকর্ষণ খেজুর রস।
জানা গেছে, এক সময় নাটোরের চন্দনপুর সড়কের দুই পাশে সারি সারি অসংখ্য খেজুর গাছ চোখে পড়ত। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য এই খেজুর গাছ। শীতে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের জন্য হেমন্তেই চলছে প্রস্তুতি। শীতের সকালে মিষ্টি রোদে বসে সুস্বাদু খেজুরের রস খাওয়ার মজাই অন্যরকম। শীতের ভরা মৌসুমে রস সংগ্রহের জন্য প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে নাটোরের চন্দনপুরের গাছিরা। শীতের দেখা এখনো না মিললেও এরই মধ্যে খেজুর রস সংগ্রহের জন্য প্রস্তুুতি নিচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ৭টি উপজেলায় বিভিন্ন এলাকার গাছিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য সাধারণত মাটির হাড়ি ব্যবহার হয়, তবে বর্তমানে মাটির হাড়ির বদলে প্লাস্টিকেরসামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। খেজুর রসে দিয়ে তৈরি মজাদার খাবারের মধ্যে অন্যতম ফিরনি, পায়েস, খেজুর গুড় দিয়ে তৈরি ভাপা পিঠা, হরেক রকম পিঠা-পুলি।
এছাড়াও প্রচলিত আছে সকালে খেজুর রস পান করলে শরীরের দুর্বলতা ও কৃমিনাশক হিসেবে উপকার পাওয়া যায়। খেজুর গাছ সারাবছর অযত্নে অবহেলায় থাকলেও শীত মৌসুম এলেই তার কদর বেড়ে যায়।