দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম’র জন্মদিন পালন

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

একটি সংবাদপত্রে ১ জনের নেতৃত্ব মেনেই ১২ বছর অতিবাহিত করা সহজ কথা নয় এখনকার সময়ে। যিনি মিডিয়ায় টীম লিডার, এক্ষেত্রে সাফল্যটি তাঁরই।‌

প্রচার বহুল ও পাঠক নন্দিতায় টানা শীর্ষে থাকা সংবাদপত্র দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের একজন হিসেবে আমি বলতেই পারি, আমাদের সম্পাদক এইক্ষেত্রে সফল, একজন সেরা সংগঠকও তিনি। সম্পাদক হিসেবে তাঁর উদার দৃষ্টিকোণ, অগাধ স্নেহ ও বিশ্বাসের ভুমিতেই আমার এবং আমার মত অনেকের বিস্তৃতি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন নয়, আরো প্রায় দেড় যুগ আগে এসটিভি ইউএস হতেই আমি তাঁর টীমের সদস্য, চট্টগ্রামের দায়িত্বশীল। এরই মধ্যে আমার একুশে টেলিভিশন, যমুনা টেলিভিশন পর্বের পরেও ফের তাঁর নেতৃত্বেই একত্রিত হলাম NEWS 24/ নিউজ টুয়েন্টিফোর টিভিতেও। শেষোক্ত এই টিভি নিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা অনেক। কখনো হয়তো তা সবিস্তারে লিখবো।

এই স্যাটেলাইট টেলিভিশনটি চালু করতে না করতেই তিনি একদিন হুট করে নির্দেশ দিলেন, চট্টগ্রাম থেকে প্রাত্যহিক সংবাদ বিশ্লেষণ করতে। সেই যে শুরু, টানা প্রায় দু বছর, শুধু ঈদ পুজো ও কোরবানির ছুটির বাইরে অন্তত ৬০০ দিন টকশো করলাম ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম থেকেই।‌ নগর পরিকল্পনাবিদ, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের প্রাত্যহিক এই এমন দীর্ঘ পরম্পরায় টেলিভিশনে চট্টগ্রাম থেকে সংযুক্তির আর কোন নজির নেই এখনো।‌ সব মিলিয়ে আমার ক্যারিয়ারের একটি উল্লেখযোগ্য সময় আমি যাঁর স্নেহে ও বিশ্বাসেই বেড়ে উঠেছি, তিনি নঈম নিজাম।

২০১০ ইংরেজির ১০ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রতিদিনে আমার যুক্ত হবার আগে আরো ১২ বছর চট্টগ্রামের আরেক পাঠক নন্দিত কাগজ দৈনিক পূর্বকোণে আমার টানা পেশাদারী যাত্রা ছিল। এ সময় কালের মধ্যে সাংবাদিক সংগঠন করতে গিয়েও টানা প্রায় ২৪ বছর ছিলাম ভোটের রাজনীতিতে।‌ অনেক মানুষ দেখেছি, চিনেছি ঘনিষ্ঠ ভাবে মিশেছি অনেক সহকর্মী এবং সম্পাদকের সাথেও। জনভিতহীন এমপি মন্ত্রী নেতা আমলা এমন অনেকের কথা তো বলাই বাহুল্য।

নঈম নিজাম আমার কাছে অভিজ্ঞতার এক অন্য জানালা। তাঁর কাছে আছে আমার অশেষ ঋণ। প্রিয় এই অগ্রজ ও সম্পাদকের জন্মদিনে শ্রদ্ধা-স্নেহ, নির্ভরতা ও কৃতজ্ঞতার এই স্মারক প্রদানের মধ্য দিয়ে আপ্লুত হলাম নতুন করেই।

অনন্য সুন্দর এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য পীর মিসবাহ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক মোঃ আবু তাহের, উপসম্পাদক মাহমুদ হাসান, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামাল মাহমুদ, প্রধান প্রতিবেদক মঞ্জুরুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি শিমুল মাহমুদ, সহকারী সম্পাদক সুমন পালিত, অনলাইনের প্রধান শামছুল হক রাসেল, সাবেক নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমানের সন্তান আনাফ ফাহমিন অন্তর ও বিজ্ঞাপন বিভাগের প্রধান মোঃ সালাউদ্দিন সহ বিভিন্ন বিভাগের সহকর্মী ও শুভার্থিগণ।

প্রাণবন্ত এই অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন, প্রিয় সহযোদ্ধা রুহুল আমিন রাসেল। পুরোটা আনন্দ সম্মিলনী আজ দুইজনকে খুব মিস করেছি। একজন পীর হাবিবুর রহমান ও অন্যজন শাবান মাহমুদ। আজ এক্ষনে সমবেত ও দূর দূরান্তে থাকা সকল সহকর্মীর জন্যই শুভ কামনা।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ