চট্টগ্রাম নগরীর বন্দরটিলা এলাকা থেকে নিখোঁজের ১০দিন পর শিশু আয়াত(৫) এর লাশ উদ্ধার

ইপিজেড থানা প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড বন্দরটিলা (নয়ারহাট) থেকে নিখোঁজের ১০দিন পর পাঁচ বছর বয়সী শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় আবির আলী নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

২৫ নভেম্বর (শুক্রবার) নগরীর আকমল আলী রোডে খালের পাশ থেকে শিশুর ৬ টুকরা লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে আকমল আলী রোড থেকে আবির আলীকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতার হওয়া কিশোর আবির আলী ভিকটিমের দাদার বাড়ীতে ভাড়া ঘরে থাকতেন। কিশোর আবির নিকটস্থ একটি গার্মন্টেস ফ্যাক্টুরীতে কর্মরত ছিলেন বলে পিবিআই সূত্রে জানাযায়।

নিখোঁজের দিন শিশু আয়াতকে অপহরণ করে বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিপনের জন্য ফোন করেন আসামীরা, অপহরণের পর চিৎকার করলে আয়াতকে সে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে আকমল আলী রোডস্থ সমূদ্র সৈকতের বাসায় নিয়ে মরদেহ ৬ টুকরা করে সাগরে ফেলে দেয়।

বন্দর জোনের উপ পুলিশ কমিশনার শাকিলা সুলতানা বলেন, ‘আয়াত নিখোঁজের পর থেকেই আবিরের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। তার এক বন্ধু পুলিশকে জানায়, কিছুদিন আগে একটি ট্রলি ব্যাগ রিকশায় তুলতে সাহায্য চায় আবির। সেই সূত্র ধরেই আমরা আবিরের বাসায় অভিযান চালাই। এরপর তার বাসা থেকে আয়াতের মাথার স্কার্ফ উদ্ধার করি এবং নিশ্চিত হই আবিরই আয়াতের ঘাতক। আমরা সেখানে গিয়ে ঘাতক আবিরকে পাইনি, পরবর্তীতে পিবিআই’র একটি টিম আবিরকে গ্রেফতার করে।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো’র পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা বলেন, ‘মুক্তিপণ দাবির উদ্দেশ্যে তাকে (আয়াত) অপহরণ করে তাদের সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলী। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাকে গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত ১১টার দিকে আকমল আলী সড়ক থেকে আটক করা হয়। সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আবির জানিয়েছে, মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন বিকেলে আয়াতকে সে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সে। পরে মরদেহ আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরো করে। ‘খণ্ডিত মরদেহ দুটি ব্যাগে নিয়ে বেড়িবাঁধ এলাকায় নদীতে ফেলে দেয়। সেসব আমরা উদ্ধারের চেষ্টা করছি, তবে মরদেহ টুকরো করার কাজে ব্যবহার করা বটি ও অ্যান্টি কাটার উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৫ নভেম্বর বন্দরটিলা নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিসের সামনের বাসা থেকে বেরিয়ে মকতবে (মাদরাসায়) আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় শিশু আয়াত। নিখোঁজের পরপরই ইপিজেড থানায় সাধারণ ডায়রি করেন আয়াতের বাবা সোহেল রানা।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ