দ্বিতীয় পায়রা বন্দর এখন ডাকুয়া ইউনিয়ন’র তরমুজের মাঠ

মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়ন চৌকিদার বাড়ি ঘাট নামে পরিচিত এখন গাজী বাড়ি নামে চলছে। নাই কোন সরকারি অবদান নাই কোন ডাক, নাই কোন জায়গার অভিযোগ শুধু চলছে জম জমাট ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, কখনো পরেনি প্রশাসনের নজরে, লুকিয়ে লুকিয়ে চলছে জমজমাট ব্যবসা, সঙ্গে চলছে বিভিন্ন ইউনিয়ন ব্যাপি F-1 হাইব্রিড তরমুজ মাঠে বিক্রয় করা হয়, এমনকি বিভিন্ন জেলার তরমুজ রপ্তানি হয় বাজারে কোটি কোটি টাকা ব্যবসা চলছে।

তরমুজ চাষিদের পরিস্থিতি দেখতে ডাকুয়া, চরবিশ্বাস, চরকাজল, রতনদি তালতলী, ইউনিয়নের মাঠ পরিদর্শন করেন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হেড অব দা ডিপার্টমেন্ট , খুলনা জোনের সাজ্জাদ হোসেন, বরিশাল জোনের, পটুয়াখালীর এলাকার সুশীল সমাজ। সুপার গ্রেড- ১ ও বিগ বস RS, তরমুজ শীত সহনশীল ও আগাম জাত, আকারে অনেক বড় (১২-১৫)কেজি, খেতে খুব সুস্বাদু ও মিষ্টি। তবে ফলটি বিষক্রিয়া মুক্ত এবং বাজারজাতে ও পরিবহনের সময় ফাটল ও পচন সহনশীল। তিন মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমে সফলতার চাবিকাঠি ফিরে পেলো কৃষক। এবছর সুপার গ্রেড-১ ও বিগবস RS বীজ রোপণে ভালো ফলন হওয়ায় হতাশার কালো ছাপ কেটেছে তরমুজ চাষিদের।

সরোজমিনে দেখা যায় বিগত দুই বছর যাবত এ সুপার গ্রেড-১ রোপনে ৮০ভাগ তরমুজ চাষী বাম্পার ফলন ও লাভের মুখ দেখছে এবং আগামীতে ভালো ফলন পাবে এমনটাই আশা চাষিদের। এবিষয়ে গলাচিপা ইউনিয়নের কৃষক জামাল বলে, আমি এবছর সুপার গ্রেড ওয়ান-১ বীজ রোপণ করে ভালো ফলন ও লাভবান হয়েছি। আমি ৬০ কাঠা জমিতে ছয় লক্ষ টাকা বিক্রি করেছি। আমার আশেপাশে অনেক চাষিরা রফিক সিডস সুপার গ্রেড -১ বীজ রোপণ করে লাভোবান হয়ে ঋণ পরিশোধ করেছে।

এই বিষয়ে ডিলার বলেন আমি দুই বছর যাবত সুপার গ্রেড-১ বীজ বিক্রি করে আসছি এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার সমস্যার কথা কৃষকরা বলেনি, ভালো ফলন হয়েছে ইনশাআল্লাহ। এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আমি ৮০০কিলোমিটার পদ বেয়ে আপনাদের মতামত জানতে ও সরজমিনে দেখতে আসলাম। আমার এই বীজ আপনাদের মাঝে বিতরণ করে যে আনন্দ পেয়েছি তা ভাষায় বুজাতে পারব না। আমি ওয়াদা করলাম, আগামীতে আপনাদের হাতে সঠিক বীজ তুলে দিব ও সব সময় আপনাদের পাশে থাকব।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ