মোটরসাইকেল চুরি চক্রের মূলহোতা সহ ৫ সদস্য গ্রেফতার

হোসেন মিন্টুঃ

চট্টগ্রাম মহানগর ও তার আশপাশ এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ বিপুল সংখ্যক মোটরসাইকেল চুরি চক্রের মূলহোতাসহ তার অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ), সিএমপি, চট্টগ্রাম মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পিপিএম (বার) এর দিক নির্দেশনায় অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা, পিপিএম, সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) অতনু চক্রবর্ত্তী ও অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল কবির এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রুবেল হাওলাদার এর নেতৃত্বে এসআই/মোঃ মোমিনুল হাসান, এসআই/বাবলু কুমার পাল, ইনচার্জ, আসকারদীঘি পুলিশ ফাঁড়ি, এসআই/মোঃ মেহেদী হাসান, এসআই/মিজানুর রহমান চৌধুরী, এসআই/মুহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন, এসআই/খায়রুল বাসার সাজিদ, এএসআই/সাইফুল আলম, এএসআই/রণেশ বড়ুয়া, কং/২৫৬১ রুবেল মজুমদার থানা ও ফাঁড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে কোতোয়ালী থানাধীন পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন গ্রামীণ মাঠ রাস্তার উপর থেকে ২৫-৩-২০২৩ তারিখ ০৮ঃ৩৫ মিনিটের সময় চোরচক্রের দুইজন মূলহোতা মিঠন ধর ও মোঃ বাবর প্রঃ বাবুলকে একটি চোরাই Hero Honda Splendor মোটরসাইকেল সহ আটক করা হয়।

পরবর্তীতে মিঠন ধর ও বাবর প্রঃ বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, তাদের অপরাপর সহযোগী মোঃ শাহেদ (২৬), মোঃ রিপন (৪০), মোঃ খোরশেদ আলম (২৯), মোঃ দিদার হোসেন (৩০), মোঃ নজরুল ইসলাম প্রঃ তাহের (৩০)’এর সহায়তায় চট্টগ্রাম শহর ও আশপাশ এলাকা থেকে চুরিকৃত মোটরসাইকেল চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ ও কক্সবাজার জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় বেচা-বিক্রি করে থাকে।

আসামি মিঠন ধর ও মোঃ বাবর প্রঃ বাবুলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের সহযোগী মোঃ শাহেদ ও মোঃ রিপনকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের হেফাজত থেকে ২৩ টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারপূর্বক ২৫-৩-২০২৩ তারিখ জব্দকরা হয়। তাদের অপর সহযোগী মোঃ দিদার হোসেন (৩০) ও মোঃ নজরুল ইসলাম প্রঃ তাহের (৩০) ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামি মিঠন ধরের প্রদত্ত তথ্য মোতাবেক আসামি মোঃ খোরশেদ আলমকে কোতোয়ালী থানাধীন ব্রিজঘাট এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। উক্ত ঘটনায় ২৬-৩-২০২৩ কোতোয়ালী থানায় পেনাল কোড ১৮৬০ অনুযায়ী একটি মামলা রুজু করা হয়। আসামিরা মোটরসাইকেল চুরিচক্রের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্যঃ পর্যালোচনায় জানা যায়, মিঠন ধরের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া থানায় ৩টি চুরির মামলা আছে। এবং ২নং আসামির বিরুদ্ধে সিএমপি’র কোতোয়ালী ও খুলশী থানায় ২টি মোটরসাইকেল চুরির মামলা আছে। ৫নং আসামির বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় মোটরসাইকেল চুরির ১টি মামলা আছে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ