চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের উদ্যোগে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মজয়ন্তী পালন

হোসেন মিন্টুঃ

চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের উদ্যোগে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে রবি প্রণাম “রবীন্দ্রনাথ চিরদিনের-চিরকালের” শীর্ষক অনুষ্ঠান গত ৮ মে সন্ধ্যায় সংগঠনের অস্হায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি বাবুল কান্তি দাশের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ছন্দা চক্রবর্তী। প্রধান আলোচক ছিলেন রাজনীতিবিদ মুক্তিযোদ্ধা ভানুরঞ্জণ চক্রবর্তী। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবালের পরিচালনায় এতে আলোচনা, কবিতা পাঠ, আবৃত্তি ও সঙ্গীতে অংশগ্রহণ করেন কবি আশীষ সেন, শিশু সাহিত্যিক উৎপল কান্তি বড়ুয়া রাজনীতিক দীপক কুমার পালিত, শিক্ষক বিজয় শংকর চৌধুরী, রাজনীতিক স্বপন সেন, আবৃত্তিশিল্পী শবনম ফেরদৌসী,

সঙ্গীতশিল্পী অচিন্ত্য কুমার দাশ, সঙ্গীতা চৌধুরী, কবি মনজুর আলম, তবলাশিল্পী কানুরাম দে, সংগঠক নাছির হোসেন জীবন, সংস্কৃতিকর্মী নিলয় দে, মোঃ জাফর প্রমুখ।

সভার শুরুতে বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল মিত্রের মহাপ্রয়াণে নিরবতা ও শ্রদ্ধা পালন করা হয়। সভায় প্রধান আলোচক তার বক্তব্যে বলেন-দৃষ্টি যতই বৃহতের দিকে ধাবিত হয়, মন ততই অখন্ড আকাশে বিস্তৃতি লাভ করে। যিনি ভালবেসে অখন্ডকে বরণ করেন, অখন্ড তাঁকে গ্রহণ করেন। বাইরের উন্মুক্ত নির্মল আকাশে নিজেকে ছড়িয়ে দিতে হবে।

সংকোচনই দুঃখ, স্মপ্রসারণই সুখ। সঙ্কীর্ণতাকে পরিহার করে অসীমের পানে ছুটতে হবে নিরন্তর। বিশ্বজাতিক মহামিলন যজ্ঞে নিজেকে আহুতি দিতে হবে পরিপূর্ণতা লাভে। এই পরিপূর্ণতার রসদ আমরা পেতে পারি রবীন্দ্র চর্চা, অনুশীলন-অনুধ্যানে। পৃথিবীর ইতিহাসে এক অনন্য উজ্জ্বল অসাধারণ প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর সবচাইতে বড় পরিচয় তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক। সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই যেখানে কবিগুরু বিচরণ করেননি।

মানুষের এমন কোনো মানবিক অনুভূতি নেই যা রবীন্দ্রনাথের কাছে পাওয়া যায় না। প্রেম, বিরহ, সুখ-দুঃখ আবেগ-ভালোবাসা, সব জায়গাতেই যেন রবীন্দ্রনাথ অমলিন। রবীন্দ্রনাথ শুধুই কবিই ছিলেন না, ছিলেন একজন মহান মানবতাবাদী দার্শনিক। তিনিই আমাদের উপলব্ধি করতে শিখিয়েছেন যে, সাহিত্য, ইতিহাস, সংস্কৃতি মানবতাবাদেরই এক অভিন্ন প্রতীক। সাহিত্য সংস্কৃতি যে মানুষের জীবন চলনারই এক অভিন্ন অংশ তা রবীন্দ্রনাথ আমাদের অনুধাবন করিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ