বেগমগঞ্জ উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা নাছরুল্লাহ’র যৌন কেলেংকারী ও অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

বেগমগঞ্জ উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা নাছরুল্লাহ আল মাহমুদ’র বিরুদ্ধে উপজাতি নারীকে যৌন নির্যাতন ও অর্থ লোপাঠের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই জঘন্য বিষয়টি দামাচাপা দিতে মোটা অংক ব্যয় করে একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। ফলে নির্যাতিত উপজাতি অসহায় অবিবাহিত নারী যৌন হয়রানীর বিচার ও সরকারী অর্থ উদ্ধার ব্যাহত হতে পারে বলে সচেতনমহল আশংঙ্কা করছেন, খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের ।

জানা গেছে, নাছরুল্লাহ আল মাহমুদ একের পর এক নারী কেলেংকারীতে জড়িয়ে সমাজসেবা অফিসকে অপবিত্র ও প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে। নোয়াখালীর হাসপাতাল সমাজসেবায় কর্মরত সুজলা চাকমা নামক এক অধঃস্তন নারী কর্মচারীকে তিনি যৌন হয়রানি করে। এর আগে সেনবাগের ‘জ’ ও ‘প’ আধ্যক্ষরের ২ নারীর সাথে তার যৌন কেলেংকারীর অভিযোগ রয়েছে। জেলা উপ-পরিচালকের কাছে এই বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আবেদন দিলেও সহকারী পরিচালক আবুল কাশেম যৌন হয়রানির বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রাখছেন বলে একটি সুত্র দাবী করছে। নির্যাতিত ওই অসহায় নারী এখন ডরে ভয়ে মুখ খুলতেও শংকিত হয়ে পড়ছে। ওই মহিলার একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, জেলা সমাজ সেবা অফিস নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক আবুল কাশেম ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় সমাজ সেবা কর্মকর্তা নাছরুল্লাহ আল মাহমুদ জামাত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত। তারা সরকারী চাকুরী করলেও গোপনে ও প্রকাশ্যে যুদ্ধাপরাধী দল জামাতকে নিয়মিত চাঁদা দেয় এবং গোপনে জামাতের মিটিং-এ অংশগ্রহণও করে। সহকারী পরিচালক আবুল কাশেম ছাত্রজীবনে শিবিরের দূর্ধর্ষ ক্যাডার ছিলেন। সে যুদ্ধাপরাধী রাজাকার আলী আহসান মুজাহিদের মন্ত্রীত্বের আমলে ২০০৬ সালে উল্লেখিত কাশেমকে মন্ত্রী মুজাহিদ বিনা ইন্টারভিউতে সিলেকশনের মাধ্যমে চাকুরী দেন। চাকুরী পেয়ে শিবির ক্যাডার রাজাকারের সন্তান কাশেম সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মধ্যে অন্যান্য শিবির ক্যাডার রাজাকারের সন্তানদের নিয়ে বিশাল এক সিন্ডিকেট বানিয়ে আওয়ামী পন্থী ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের নির্যাতনদের নানাভাবে অফিসিয়ালি হয়রানী করে আসছিল বলে বিভিন্ন সুত্র দাবী করছে।

সহকারী পরিচালক আবুল কাশেম ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় সমাজ সেবা কর্মকর্তা নাছরুল্লাহ আল মাহমুদ’র কার্যক্রমের উপর গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে বলে মুক্তিযুদ্ধের একটি গোষ্টি দাবী করছে।

নাছরুল্লাহ আল মাহমুদ বেগমগঞ্জ উপজেলায় সমাজ সেবা কর্মকর্তাকে বিশ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে চাকুরী নিয়েছে বলে অভিযোগ করছে এক পক্ষ।নাছরুল্লাহ চট্রগ্রাম কলেজের ছাত্র অবস্হায় শিবিরের সাথী ছিলেন বলেও একই পক্ষ থেকে দাবী করা হয়। সে সেনবাগ উপজেলার দায়িত্ব পালনকালে মুক্তিযোদ্ধাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে হয়রানী করে আসছিল।নাছরুল্লাহ সেনবাগে নারী কেলেংকারীতে জড়িয়ে এবং সরকারী কোষাগারের ২৫ পঁচিশ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার সংবাদ স্হানীয় ও জাতীয় একাধিক পত্রিকায় ফাঁস হয়ে গেলে তাকে বেগমগঞ্জ উপজেলায় বদলী করা হয়।বর্তমানেও সে তার অভ্যাস পরিবর্তন হয়নি।

নাছরুল্লাহ আল মাহমুদ মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুসরণ না করেই বিভিন্ন বিলের মাধ্যমে ২৫ লাখ টাকা লুটপাঠ করে।কর্মচারীদের অগ্রিম ভ্রমনসূচী দাখিল করার কথা থাকলেও সে তা করেনি। উপজেলা কর্মকর্তাকে মাসে কমপক্ষে মাঠে ১৫দিন কাজ করতে হয়। নাছরুল্লাহ আল মাহমুদ কখনো মাঠে যান না।

সুজলা চাকমাকে নাছরুল্লাহ আল মাহমুদ কর্তৃক যৌন হয়রানী করার অভিযোগ বিষয়ে সহকারী পরিচালক বেলাল হোসেন সাহেবের কাছে জানতে চাইলে তিনি অফিস সময়ে সব তথ্য দেবেন এখন বাইরে আছেন বলে এড়িয়ে যান। যৌন হয়রানীর বিষয়টি তার মাধ্যমে প্রথমে জানাজানি হলেও বর্তমানে অজানা কিংব রহস্য কারণে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাচ্ছেন বলে একটি সুত্র জানান দিচ্ছে। সুজলা চামকা ও নাছরুল্লাহ আল মাহমুদ এর এই অনৈতিক যৌন হরয়ানী কাণ্ডটি এখন সমাজ সেবা অফিসের সুনাম নিয়ে টানাটানি চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ