পতেঙ্গায় ব্যাংক-ঋন খেলাপির দায়ে আলী প্লাজা সিল গালা

পতেঙ্গা থানা প্রতিনিধিঃ

চট্রগ্রাম নগরীতে বছর তিনেক আগে বেসরকারি ব্যাংক থেকে ঋন নিয়ে পতেঙ্গার ষ্টীলমিল বাজার এলাকায় জনৈক মোঃ আলী (ঋন খেলাপী, বেনসন আলী) মালিকানাধীন আলী প্লাজা নামে বৃহৎ শপিং মার্কেট টি গড়ে উঠে।

যথা নিয়মে প্রতি দোকান কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে মুল মালিক থেকে ২০০ শতাধিক দোকান বরাদ্দ নেয়। দোকানীরা যথা নিয়মে প্রতি মাসের ভাড়াসহ যাবতীয় ইউটিলিটি পরিশোধ করে আসছে। এর মধ্যে কিছু দোকান হাত বদলও হয়। কিন্তু মার্কেট মালিক ব্যাংক ঋন যথা সময়ে পরিশোধ না করায় তা সুদ সহ প্রায় ৬০ কোটি টাকার অধিক। বর্তমানে ভবন মালিক পালাতক। কিন্তু গতকাল (১৪ সেপ্টেম্বর) আদালতের নির্দেশে মার্কেটটি চলমান অবস্থায় বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিটি দোকানে রয়ে যায় লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল।

এখন প্রশ্ন! ব্যাংক ঋন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। প্রতিটি মার্কেট বা, বড় বড় ভবন ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে দেখি। কিন্তু দায়বদ্ধ অবস্থায় মার্কেট বা ভবনের পজিশন বেচা কেনা হচ্ছে! প্রশ্ন ভবন মালিক ঋন পরিশোধ না করলে তার দায় কি মার্কেটে পজিশন ক্রয় কারীদের!!

যেহেতু এতোদিন আদালতে ভবন মালিকের সাথে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মামলা চলমান জনিত কারনে চুক্তি অনুযায়ী দোকানদাররা মার্কেট মালিককে ভাড়া পরিশোধ করে আসছিল। বর্তমানে ব্যবসায়ীদের আকুল আবেদন ব্যাংক মানবিক দৃষ্টিকোণে এখন দোকানের ভাড়া ব্যাংক নিজেরাই নিতে পারে। অন্যথায় ২০০ শতাধিক দোকান মালিক, কর্মচারী, সব হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে যাবে। আশা রাখি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে বিষয়টি বিবেচনায় নিবেন। এখানে আরো বলার কথা, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এসব ঋন খেলাপি, লুটেরা এবং দুষ্টু প্রকৃতির লোকদের কেন অনৈতিক সুবিধা দিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন মান নিয়ে বারবার প্রতারণা করছে তার জন্য ঐ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বা দায়িত্বশীল ব্যক্তি দায়ী নয় কি ?

এছাড়া এদের সাথে এলাকার কিছু টাউট, সুবিধাবাদি এবং অতিশয় লোভী গোচরের জনপ্রতিনিধি/ মেম্বার/ মোড়লশ্রেনীর রাজনৈতিক নেতা/ ভন্ড সমাজসেবক নামের একটি অংশ জড়িত। যাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ঐ লুটপাটের কোটিপতিরা নিরীহ মানুষকে সর্বশান্ত করছে। বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে আশু সমাধান চাই ক্ষতিগ্রস্ত দোকানীরা।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ