পটুয়াখালী জেলা পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শারদীয় দূর্গাপূজা
পটুয়াখালী জেলা পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শারদীয় দূর্গাপূজা
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি,শ্রী মিশুক চন্দ্র ভুইয়াঃ
পটুয়াখালী জেলার ৯ টি উপজেলায় পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শারদীয় দূর্গাপূজা।
উপজেলা পূজা উদ্যাযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক মন্ডপে শারদীয় দূর্গোউৎসব পালিত হবে মন্দিরে পূজা উদ্যাযাপন হবে। এই লক্ষ্যে মন্দিরগুলোতে পরিচ্ছন্নতা ও প্রতিমা তৈরির কাজ পুরোদমে চলছে।
আগামী ২০শে অক্টোবর শুক্রবার মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে দুগোর্ৎসব শুরু হবে এবং ২৪শে অক্টোবর মহা বিজয়া দশমীর মধ্যদিয়ে উৎসবটির পরিসমাপ্তি ঘটবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান।
সার্বিক সহযোগীতায় রয়েছেন শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির তীর্থযাত্রা উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি, ও প্রকৌঃ নীহার রঞ্জুন মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক পূজা উদ্যাযাপন কমিটির, প্রতিটি ইউনিয়নের সভাপতি সম্পাদক তাদের দয়িত্ব পালন করবেন।
একটি দুর্গা পূজা ও বাসন্তী পূজা পরিচালিত হয়ে আসছে। এ মন্ডপের দীর্ঘ দিন ধরে তারা এ পূজা সুষ্ঠভাবে পরিচালিত করে আসছে বলে জানা যায়। আইন সৃঙ্খলা রক্ষায় থাকবেন আনসার, ভিডিপি, গ্রাম পুলিশ ও একজন করে রিজার্ভ পুলিশ।
পূজা দেখাশোনার জন্য প্রতিটি উপজেলায় মনিটরিং টিম থাকবে বলে জানা যায় দুর্গাপূজাকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা কারিগররা, বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় শারদীয় দুর্গোৎসবের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। তাই শারদীয় দুর্গাপূজার দিনক্ষণ গণনা শুরু। এই উৎসবকে ঘিরে পটুয়াখালী জেলা ও উপজেলা বিভিন্ন মন্দিরে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ।
১৪ অক্টোবর মহালয় তার আগেই শেষ করতে হবে প্রতিমা তৈরি কাজ। ফলে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। দেবী দুর্গা, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মীকে আকৃতি দিতে ঘাম ঝরাচ্ছেন তারা।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন মন্দিরে চলছে রাত-দিন প্রতিমা তৈরির কাজ। শিল্পী আর সহযোগিরা মিলে বানাচ্ছেন দুর্গাপূজার প্রতিমা। মাটি আর খড় পানি দিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে এসব প্রতিমা। এরপর এতে দেওয়া হবে রং। এক সেট প্রতিমার জন্য দেবী দুর্গা ও তার চার সন্তান-সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মীকে বানানো হয়ে থাকে। পাশাপাশি থাকে অসুর, সিংহ, হাঁস, প্যাঁচা ও সাপ।
সেখানে কাজ করছেন প্রতিমা শিল্পী, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বছর ৬ টি কাজের অর্ডার পেয়েছি। পূজার জন্য সাধারণত তিন মাস আগে থেকে কাজ শুরু করতে হয়। আমার প্রতিমার কাজ প্রায় শেষ, এখন শুধু রংদিয়ে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পালা। তিনি আরও বলেন, বর্তমান মাটি, রং, বাঁশের দাম বেড়ে গেছে। আগে দুর্গাপূজার এক সেট প্রতিমা তৈরি করতে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হতো। এখন তা বেড়ে ৪০ হাজার টাকার বেশি হয়ে গেছে। পরিশ্রম অনুযায়ী আমাদের পারিশ্রমিক মিলছে না।
পাশেই বসে দেবী দুর্গাকে সাজিয়েছেন তিনি বলেন, এই পেশায় কাজ করে পূজার উৎসবের সময়ই শুধু আনন্দ। সারা বছর তেমন কাজ থাকে না। বাকি দিন কষ্ট করে চলতে হয়। তরুণরা আসতে চান না এ পেশায়। আমরা যারা আগে থেকে শিখেছি তারাই প্রতিমা বানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বলেন, এ বছর গলাচিপা উপজেলায় মন্দিরে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।আগামী ১৪ অক্টোবর মহালয়া, চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে দেবী দুর্গাকে। এরপর ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ উৎসব।