একজন সফল শিক্ষাসংগঠক ছিলেন অধ্যক্ষ মির কফিল উদ্দীন

হোসেন মিন্টুঃ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতি ৮২ (১৪তম ব্যাচ) এর উদ্যোগে সমিতির প্রাক্তন সভাপতি হাটহাজারী সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মির কফিল উদ্দীনের শোকসভা গতকাল সন্ধ্যায় সমিতির সভাপতি প্রফেসর ফরমুজুল হকের সভাপতিত্বে এনায়েত বাজার মহিলা কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খ্যাতিমান সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড.অনুপম সেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিবিইউএফটি চট্টগ্রামের উপাচার্য প্রফেসর ড. ওবায়দুল করিম। শোকসভা পরিষদের সদস্য সচিব ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দীন আহমদ সাকির সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, শোক সভা পরিষদের আহবায়ক, সমিতির সাবেক সভাপতি রাশেদ মনোয়ার। এতে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ.এফ.এম. আওরঙ্গজেব মনজু, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতত্ত্ব বিভাগ প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির সভাপতি রাজনীতিবিদ মোঃ গিয়াস উদ্দীন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক কামরুল ইসলাম হারুন, ছৈয়দ ছগির আহমদ, সাংগাঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান চৌধুরী, মরহুমের বড়ভাই ডাঃ মীর হাবিবুর রহমান, চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ.এম.জিয়াউদ্দীন, কথাসাহিত্যিক ড. আজাদ বুুলবুল, কলামিষ্ট ড.শামসুদ্দীন শিশির, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ মোরশেদ হোসেন, সমিতির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবির কাঞ্চন, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলম, এনায়েত বাজার মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ইলোরা ইসলাম, কলামিষ্ট অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, বেতার ব্যক্তিত্ব ফজল হোসেন, চসিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপিকা সাকি জিন্নাত পারভিন, নিয়াজ আহমদ, সঙ্গীত শিল্পী ইকবাল হায়দার চৌধুরী ও মরহুমের বড় সন্তান মাইশা নুর, শোক প্রস্তাব পাঠ করেন সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শীলব্রত বড়ুয়া।

কোরআন তেলওয়াত পাঠ করেন এ.জে.এম.জাহাঙ্গীর। দোয়া ও মুনাজাত করেন সমিতির সদস্য মোঃ ছালামত উল্লাহ। সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন অধ্যক্ষ মির কফিল উদ্দীন একজন সার্থক ব্যক্তি। তিনি তার কর্মময় জীবনের মধ্যে সার্থকতা অর্জন করেছেন। তিনি সবসময় হাসিমুখে নিজের অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে ভালোবাসতেন। কফিল ও তার সহধর্মিনী আমার ছাত্র ছিলেন। তারা দুজনই সফল শিক্ষাবিদ। পিতা হিসেবেও মীর কফিল উদ্দীন একজন সার্থক পিতা। তিনি তাঁর ৩ সন্তান সুশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। তিনি বলেন আজকের দিন কফিলের মত শিক্ষাদরদী মানুষ খুব দরল। আজীবন তিনি মহান শিক্ষকতায় নিজেকে উৎসর্গ করতে সক্ষম হয়েছেন। সর্বোপরি কফিল উদ্দীন একজন সফল ও সার্থক মানুষ হিসেবে আজীবন ফেরিওয়ালা হিসেবে সংগ্রাম করেছেন। বিশেষ অতিথি প্রফেসর ড. ওবায়দুল করিম বলেন অধ্যক্ষ মীর কফিল বর্তমান সমাজের একজন অনুকরণীয় মহান শিক্ষক ছিলেন। যার সামগ্রিক চিন্তা চেতনা জুড়েই ছিল শিক্ষার মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের ও দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার। তিনি বলেন অধ্যক্ষ মির কফিল উদ্দীন ও তার যোগ্য সহধর্মিনী সাহিত্যিক অধ্যক্ষ তহুরিন সবুর ডালিযা দুজনই সফলতার সাথে শিক্ষকতা এবং অধ্যক্ষের দায়িত্ব সুসম্পন্ন করেছেন। যা একটি পরিবার তথা সমাজের জন্য গৌরবের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। সমাজের কঠিন বাস্তবতা ও ঘুণে ধরা সমাজ কাঠামোতে আরেকজন কফিল উদ্দীন সৃষ্টি খুবই দৃরুহ একটি কাজ। আমরা আশা করি অধ্যক্ষ মীর কফিল উদ্দীন তাঁর অসাধারণ কর্মযজ্ঞের জন্য চির স্মরণযোগ্য হয়ে থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ