চট্টগ্রামের পাহাড় তুমি কার সরকারের না ভূমিদস্যুদের নিরব পরিবেশ অধিদপ্তর
চট্টগ্রামের পাহাড় তুমি কার সরকারের না ভূমিদস্যুদের নিরব পরিবেশ অধিদপ্তর
কামাল উদ্দিন,মহানগর প্রতিনিধি চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রাম’র সীতাকুণ্ড থানাধীন বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোড সংলগ্ন জঙ্গল সলিমপুর মৌজার ৫নং ব্রীজ সংলগ্ন রয়েছে অসংখ্য পাহাড়। কোলাহলপূর্ণ নগরের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব যেন এসব পাহাড়ের উপর। কিন্তু দিনে দিনে বিলীন হচ্ছে এলাকার পাহাড় গুলো। প্রভাবশালীদের হাতে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে পাহাড়। বিশাল পাহাড় কেটে করা হচ্ছে সমতল, বানানো হচ্ছে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। পরিবেশ অধিদপ্তরও যেন এসব প্রভাবশালীর কাছে অসহায়।
গোপনে পুরো পাহাড় কেটে ফেলার পর জানতে পারে পরিবেশ অধিদপ্তর। ততদিন পাহাড় আর পাহাড় থাকে না পুরোটা সমতল ভূমি হয়ে যায়। আর এ সুযোগে সেখানে তৈরি হয়ে যায় বিশাল ঘরবাড়ি।সীতাকুন্ড থানা এলাকার সলিমপুর ৫নং ব্রীজ সংলগ্ন উত্তরে ঘুরে দেখা গেছে, কাটা হচ্ছে পাহাড়। ইট কিংবা টিন দিয়ে ঘেরাও করে গোপনে রাতে ও ভোরে কাটা হচ্ছে পাহাড়। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দিন দুপুরে ও কাটেন পাহাড়। স্থানীয়রা দেখলে ও কারো বিরুদ্ধে মুখ খুলেন না বা প্রতিবাদ ও করেন না। কোথায় পরিবেশ অধিদপ্তর, কোথায় প্রশাসন, অবাধে চলছে পাহাড় কাটা। সীতাকুন্ড থানার অন্তর্গত শেরশাহ-ফৌজদারহাট লিংক রোডের ৫নং ব্রীজ সংলগ্ন সলিমপুরের উত্তরে পাহাড় কাটার সম্পর্কে জায়গার প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে জানতে চাইলে সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মালেক বলেন, এটা আমার পিতার নামে সরকার কর্তৃক স্থায়ী বন্দোবস্তির সম্পত্তি। বিএস দাগ নং-৩৬১, যাহা আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে জায়গাটি আমার দখলে রয়েছে। কিন্তু একটি অসাধু ভূমিদস্যুর চক্রে পাহাড় কেটে জায়গাটি দখলের পায়তারা করে আসছে। পাহাড় পর্বতে ঘেরা চট্টগ্রামকে বলা হয় সৌন্দর্যের রানী। বর্তমানে অবাধে পাহাড় কাটার কারনে ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে সেই চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকা।
সামান্য বৃষ্টিতে একই কারণে পানি জমে নালা-নর্দমা ভরাট ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় প্রতিনিয়ত। এভাবে অবাধে প্রভাবশালীরা পাহাড় কাটতে থাকলে, একদিন সত্যিই বিলুপ্ত হয়ে যাবে পাহাড়ের সৌন্দর্য। পাহাড় কাটা বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর বলেন, এ বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে, আমরা তদন্তের মধ্য দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।