বিএনপি জামাত এর জন্ম আজন্মের পাপ এরা চিহ্নিত খুনি ও ধ্বংসের উপমা—আ.জ.ম নাছির

হোসেন মিন্টুঃ

চট্টগ্রাম ৭ নভেম্বর ২০২৩ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জিয়াউর রহমান অন্তর থেকে নয়, বাধ্য হয়েই মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিলেন। সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাসে চট্টগ্রাম বন্দরের শ্রমিক জনতার যখন আত্মাহুতি দিচ্ছিলেন তখন হানাদার বাহিনীর পক্ষে সেই অস্ত্র খালাসে তিনি এগিয়ে গিয়েছিলেন। মাঝপথে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদস্থ বাদামতলী মোড়ে বীর জনতার প্রতিরোধের মুখে তিনি ষোলশহরে ফেরত আসেন এবং সেখান থেকে কড়লডেঙ্গায় গিয়ে আশ্রয় নেন। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত। ৩রা নভেম্বরের জেলহত্যার সময়ও তার প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল। ৭ই নভেম্বর ভোরবেলায় মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা, সৈনিক হত্যার সময়ও তিনি নেপথ্যের প্রধান কুশীলব ছিলেন। এই জিয়াউর রহমান মনে প্রাণে পাকিস্তানি ভাবধারায় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ করলেও পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর অনুচর ছিলেন এবং তিনি অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে এম এ সবুর খান, ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিম, শাহ আজিজুর রহমান, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সহ যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে পুর্নবাসিত করেছিলেন। তার পরবর্তী কার্যকলাপে প্রমাণিত হয় তিনি পাকিস্তানী ভাবধারায় বিশ্বাসী।

তিনি আজ মঙ্গলবার বিকেলে জেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিক হত্যা দিবসে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি আরো বলেন বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধীদের একত্রিত করে আবারো চক্রান্তের খেলায় মেতে উঠেছে। এরা হুমকি ধামকি ও অগ্নিসন্ত্রাস করে এদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।তাদের আস্ফালনকারী নেতা মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসরা এখন কারাগারে লাইফ সার্পোটে আছে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বিএনপি ও জামাতের উদ্দেশ্যে বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। আপনাদের জন্ম আজন্মের পাপ। গণতন্ত্র আপনাদের মুখের কথা, অন্তরে কুটিলতা ও বিষবাষ্প। আপনারা দু-চারটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে এবং পুলিশ হত্যা করে যে হিংসাত্মক অপরাজনীতি করছেন এর দায় অবশ্যই বহন করতে হবে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশের প্রধান বিচারপতি যিনি যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছিলেন এবং তা কার্যকরও হয়েছে তার প্রতিশোধ নিতেই বিএনপি জামাত পরিকল্পিতভাবে অবরোধ ও সমাবেশের নামে তার বাসভবনে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়েছে। এর জন্য তাদের কোনো অনুশোচনা নেই।

এই প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র ফিলিস্তিন ভূমিতে মার্কিনী মদদে ইসরাইল বাহিনী যে গণহত্যা চালাচ্ছে সে ব্যাপারে বিএনপি নিশ্চুপ ও নীরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এর কারণ তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দাসখত দিয়েছে। ইসরাইলী হামলার নিন্দা করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অখুশি হবে এই জন্যই বিএনপির এই রহস্যময় নীরবতা। তিনি অযৌক্তিক অবরোধ ও হরতালের নামে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদহানি হলে জনগণকে নিয়ে তা প্রতিরোধ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়ে বলেন, আগামীকাল থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ১৯টি পয়েন্টে মহানগর আওয়ামী লীগ অবস্থান নেবে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: ইউনুছ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, জালালাবাদ ওয়ার্ডের শাহজাদা কাজী আবদুল মালেক, পূর্ব মাদারবাড়ী ওয়ার্ডের সালাউদ্দিন ইবনে আহমেদ, পশ্চিম মাদারবাড়ী ওয়ার্ডের গোলাম মো: জোবায়ের, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের ইকবাল হাসান চৌধুরী, বাগমনিরাম ওয়ার্ডের সাইফুল আলম বাবু। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি এড ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বদিউল আলম, উপদেষ্টা আলহাজ্ব শফর আলী, শেখ মাহমুদ ইছহাক, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য শফিক আদনান, হাসান মাহমুদ শমসের, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মো: হোসেন, দিদারুল আলম চৌধুরী, মো: আবু তাহের, শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য আবুল মনসুর, আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ, মহব্বত আলী খান, সৈয়দ আমিনুল হক, বখতিয়ার উদ্দিন খান, রোটারিয়ান মো: ইলিয়াছ, নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, হাজী বেলাল আহমেদ প্রমুখ। সমাবেশে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবসের সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ