অবরোধের অজুহাতে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির দায় বিএনপিকে নিতেই হবে

হোসেন মিন্টুঃ

চট্টগ্রাম ১৫ নভেম্বর ২০২৩, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, গণতন্ত্র শান্তি ও উন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন দাবি করে যে অযৌক্তিক কর্মসূচি বিএনপি জামাত একতরফাভাবে দিয়ে যাচ্ছে জনগণ তাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সচল রাখায় দেশবাসীর অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি গতকাল বুধবার সকালে দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয় চত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত নাশকতা ও অরাজকতা বিরোধী শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বিএনপি জামাত অতীতেও জ্বালাও পোড়াও করে আগুনে পুড়িয়ে মানুষকে হত্যা করেছে। তাদের গায়ে খুনির কলঙ্কের দাগ। এই দাগ কখনো মুছা যাবে না। দাগ মুছতে হলে তাদেরকেও ঐ আগুনে পুড়তে হবে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, বিএনপি জামাতের অযৌক্তিক অবরোধকে পুঁজি করে এক শ্রেণির এক অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। এদেরকে চিহ্নিত করে অবশ্যই প্রশাসনের হাতে সৌপর্দ করা হবে। অবরোধের নাম দিয়ে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির দায় বিএনপি জামাতকে অবশ্যই নিতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার এই দেশের তিনকোটি মানুষকে নানাভাবে সরকারি প্রণোদনায় উপকারভোগী করেছেন। বছরের প্রথম দিন প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরে বিনামূল্যে নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। এছাড়া সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে মাধ্যমিকস্তরে মাত্র ৮-১২ টাকা বেতনে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করছে এবং দৈনিক টিফিন পাচ্ছে। শিক্ষাপ্রসারে বর্তমান সরকারের অবদান ঈর্ষন্বীয়। তিনি আরো বলেন বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা হয়েও তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নন। তিনি বন্দুকের নলে ক্ষমতায় এসে কৌশলে দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করেছিলেন। অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছেন। গোলাম আজম ও যুদ্ধাপরাধীদের নাগরিকত্ব দিয়েছেন। তাই বিএনপিকে কোনভাবেই দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল বলা যায় না। এটা প্রকৃতঅর্থে দুর্বৃত্তদের আস্থানা। এই আস্থানা গুড়িয়ে দিতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব শফর আলী, সাংগঠনিক সম্পদক শফিক আদনান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, সদরঘাট থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো: সালাউদ্দিন, ৩১নং আলকরণ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন তপন, ৩৪নং পাথরঘাটা ওয়ার্ডের ফজলে আজিজ বাবুল, ৩৩নং ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ফারুক আহমেদ, ২৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, ৩০নং ওয়ার্ডের মুজিবুল হক পেয়ারু। সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ৩৩নং ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের স্বপন কুমার মজুমদার, ৩০নং পূর্ব মাদারবাড়ী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সালাউদ্দিন ইবনে আহমেদ, ৩৩নং ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, ৩১নং আলকরণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, ৩৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর প্রমুখ। সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন ৪র্থ বারের মত বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় সিজেকেএস এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানানো হয়। এছাড়া বাকলিয়া ওয়ার্ডে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে ও শাহজাহানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহিলা কাউন্সিলর শাহীন আক্তার রোজী, মো: ইয়াকুব সওদাগর, হাজী আবদুল মোনাফ, আবুল কালাম চেয়ারম্যান, বেলাল হোসেন ও তসকির আহমেদ।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ