বহুবিধ বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার’র গৌরবোজ্জ্বল ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
বহুবিধ বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার’র গৌরবোজ্জ্বল ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
আরজুন নাহারঃ
বহুবিধ বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার গৌরবোজ্জ্বল ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। গত ১২ নভেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, রাজধানী ঢাকার কাকরাইল আইডিইবি ভবনের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জাঁকজমকপূর্ণ এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এমপি।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নতুনধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ড. মো. সাদী-উজ-জামান, ক্যাট-এর সভাপতি, দ্যা ডেইলি বাংলাদেশ ডায়েরির সম্পাদক এবং সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক আলী নিয়ামত, দৈনিক বঙ্গজননী পত্রিকার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান জিয়া, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার বার্তা সম্পাদক, বিশিষ্ট কবি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মজিবুর রহমান, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী সম্পাদক খালেদ এম এইচ চৌধুরী রানা, নির্বাহী সম্পাদক টি এইচ এম জাহাঙ্গীর, ব্যবস্হাপনা সম্পাদক মো. মহিবুর রহমান খানসহ আরো অনেকে।
এছাড়াও অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিসহ দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার কয়েকশতো সাংবাদিক উক্ত অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন সফেন প্রতিষ্ঠাতা, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের পরিচালক, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও দ্যা ডেইলি বাংলাদেশ ডায়েরির সম্পাদক বহুমুখী শিল্পস্রষ্টা ড. খান আসাদুজ্জামান পিভিএমএস।
প্রকাশনার ৮ম বছর শেষে ‘দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার’ দেশ, সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি ও গণমানুষের খবর তুলে ধরে বর্তমানে জনপ্রিয়তার মঞ্চে আসীন হয়েছে।
আজথেকে ৮ বছর আগে ২০১৬ সালে ‘সারাবিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মুখপত্র’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার যাত্রা শুরু হয়। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ সমাচার আজ একটি জনপ্রিয় পত্রিকা হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। পত্রিকাটি ইতোমধ্যে জাতীয় মিডিয়া লিস্টের ২১তম স্থান দখল করার পাশাপাশি ৮ম ওয়েজবোর্ডভুক্ত পত্রিকার মর্যাদা পেয়েছে।
পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক বহুমুখী শিল্পস্রষ্টা ড. খান আসাদুজ্জামান পিভিএমএস-এর প্রগাঢ় মেধা, সুচিন্তা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের পথপরিক্রমায় গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার যে খবরাখবর ও বাস্তবচিত্র তুলে ধরেছে, সেটি বাংলাদেশের সংবাদপত্রের জগতে এক ব্যতিক্রমী সংযোজন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশ ও জনগণের পক্ষে যে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছে তা প্রশংসনীয়। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে চলেছে সাফল্যের সাথে। অনিয়ম, দুর্নীতি, মাদক ব্যবসা, নারী নির্যাতন, বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম, জঙ্গিবাদ ইত্যাদি অপরাধ দমনে এবং অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচনে সাহসী ভূমিকা রাখছে ‘দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার’। শুধু নগর-মহানগর নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষের খবরও প্রকাশ করছে গুরুত্বসহকারে। অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করে দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় ‘দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার’ সৎ ও নির্ভীক সাংবাদিকতার যে ঐতিহ্য গড়ে তুলেছে, আগামী দিনগুলোতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশাবাদী।
অনুষ্ঠানের সকল সাংবাদিকদের মধ্য থেকে নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য ৭ জনকে কিং অব দ্যা ইয়ার সম্মাননা, ২৭ জনকে কৃতি সাংবাদিক সম্মাননা, ৩জনকে সফেন আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়াও সমাজিক, মানবিক কাজে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৩ জন গুণী ব্যক্তিকে সম্মাননা প্রদান করা হয় এবং ভূমি রেকর্ড প্রথার প্রবর্তক হিসেবে ইসমাইল মালিথাকে মরণোত্তর সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এমপি বলেন, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উপস্থিত হতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। পাশাপাশি এ পত্রিকার উত্তরোত্তর সাফল্য ও মঙ্গল কামনা করছি। সংবাদপত্র একটি দেশের চতুর্থস্তম্ভ, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। বাংলাদেশ সমাচার সব সময় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে থাকে। এ পত্রিকা একদিন দেশের সকল মানুষের জনপ্রিয় পত্রিকায় পরিনত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
সভাপতির বক্তব্যে দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক বহুমুখী শিল্পস্রষ্টা ড. আসাদুজ্জামান বলেন, আজ বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সকলকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সকল সাংবাদিক আমার সন্তানের মতো। আমি সর্বদা চেষ্টা করি সকল সাংবাদিকের ন্যায্য পাওনাটুকু পরিশোধ করতে। প্রতি বছর বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পুরস্কৃত করার।
অনুষ্ঠানে মনোমুগ্ধকর সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়। বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি ছিলো অত্যন্ত আনন্দদায়ক ও উপভোগ্য।