চট্টল বীর প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালন

হোসেন মিন্টুঃ

চট্টল বীর প্রয়াত আলহাজ্ব এ,বি,এম,মহিউদ্দিন চৌধুরীর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী ছিল গতকাল। তার মৃত্যুবার্ষিকী দোয়া মাহফিল মধ্যে দিয়ে শেষ করা হয়। তাঁর প্রতি চট্টগ্রামবাসী ঋণী। তাঁকে প্রতিবছরের ন্যায় স্বরণ করে আমরা তাঁর আত্মার সদগতি কামনা করি। এবারও তাঁকে নিয়ে কিছু স্বতিচারণ করলাম। এদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতা অর্জন। মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতা আন্দোলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাঁর অবদান চিরস্বরণীয়। চট্টগ্রামের রাজনীতির মুকুটহীন সম্রাট চট্টল বীর নামে পরিচিত বীর মুক্তিযোদ্ধা তিন বারের নির্বাচিত সফল মেয়র প্রয়াত আলহাজ্ব এ, বি, এম, মহিউদ্দিন চৌধুরী। বার আউলিয়ার পূণ্য ভূমি এই চট্টগ্রাম শহরকে তিনি মনের মতো করে নান্দনিক রূপে সাজিয়েছেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র থাকাকালে স্কুল, কলেজ, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে কম খরচে সবার জন্য লেখাপড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে হাসপাতাল করে সমাজের সর্বস্তরের জনগণের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সহ ঔষধপত্র সরবরাহ করে দিয়েছেন। তাঁর সপ্নের কর্ণফুলী টানেল আজ বাস্তবায়নাধীন। তিনি ছিলেন চট্টগ্রামের মানুষের প্রাণের স্পন্দন। যে কেউ বাসায় গেলে তাঁর অতিথি পরায়ণাতা দেখে মুগ্ধ হয়ে যেতেন। বর্তমানে এইরকম সহজ, সরল রাজনীতিবিদ খুবই বিরল। চট্টগ্রামে এরকম জনদরদী পরের চিন্তায় চিন্তিত, পরের কান্নায় কান্না করার মতো আর একজন মহিউদ্দিন চৌধুরী জন্ম নেবে না। এই মহান রাজনীতিবিদের পাশাপাশি থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন। তাঁর বাসায় যখন ছাত্র নেতা কর্মী থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের আনাগোনা ছিল। তাঁদের ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে মেহমানদারি করার দায়িত্ব ছিল তাঁর উপর। বর্তমানে তাঁর পরিবার প্রয়াতের নামে ‘‘মহিউদ্দিন চৌধুরী’’ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে চট্টগ্রামের সাধারণ ও নিঃস্ব মানুষের কাছে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তাঁর মতো ত্যাগী নেতা ও আদর্শবান রাজনীতিবিদের অভাব পূরণ হওয়ার কথা নয়। এমন নেতার জন্ম বার বার হয় না। তিনি লক্ষ কোটি ত্যাগী, পরিশ্রমী ও সৎ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর প্রতিচ্ছবি হয়ে বেঁচে থাকবেন। তাঁহার সংগ্রামী জীবনের কষ্ট, পরিশ্রম বৃথা যায়নি। তিনি কর্মের মধ্যেই চট্টগ্রামবাসীর হৃদয়ে অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন। তাঁর প্রাণপ্রিয় সহধর্মিনী চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের মহিলা সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন নারী জাগরণে অগ্রদূত হিসেবে নারীদের অধিকার আদায়ে কাজ করে যাচ্ছে। পিতার আদর্শকে ধারণ করে তাঁরই সুযোগ্য ছেলে শিক্ষা উপমন্ত্রী চট্টল রত্ন ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী (নওফেল) চট্টগ্রামে বিভিন্ন স্কুল কলেজ সহ আইটি ভিলেজ স্থাপন করে এলাকার তরুণ সমাজকে স্বনির্ভর করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও কোতোয়ালী আসন থেকে আবারও মনোনয়ন পেয়েছেন তাঁরই আদরের সন্তান মহিবুল হাসান চৌধুরী (নওফেল)। আশা করি তিনি এবারও সবার আর্শীবাদ/ভালবাসা নিয়ে জয়ী হয়ে আসবেন। সবাই তাঁকে নিজ নিজ ধর্মানুসারে তাঁর জন্য প্রার্থনা করব তিনি যেন পিতার মত আজীবন সমাজের অসহায়ও নিপীড়িত মানুষের সেবা করে যেতে পারে। ছোট ছেলে বোরহানুল হাসান চৌধুরী (সালেহীন) প্রতিনিয়ত এলাকার মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। বড় জামাতা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ডাঃ সেলিম চৌধুরী সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী। তাঁরাও সাধ্যমত প্রয়াতের অপূর্ণ ইচ্ছা পূরণে সহযোদ্ধা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সকলের হৃদয়ে, অনুভবে, অনুপ্রেরণায় বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল। চট্টগ্রাম বাসী শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করছে এই মহান মানুষটিকে। পরম করুণাময় তাঁকে জান্নাতবাসী করুন।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ