বিএনপিকে নিজেদের আগুনে পুড়ে ছারখার হতে হবে

হোসেন মিন্টুঃ

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিয়ে যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছিল তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। চক্রান্তের সকল জাল ছিন্ন করে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তপশীল অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখে নির্বাচন হবেই। এই নির্বাচনকে ঘিয়ে সমগ্র বাংলাদেশ আজ উৎসবমুখর। অন্যদিকে গুপ্তঘাতক বিএনপি চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার মহোৎসব শুরু করে দিয়েছে। এই অগ্নি সন্ত্রাসের মহা উৎসবে যারা আগুন নিয়ে খেলছে তাদেরকে ঐ আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। তিনি গতকাল সকালে চট্টগ্রাম -১০ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব মো: মহিউদ্দিন বাচ্চুর দামপাড়াস্থ নির্বাচনী কার্যালয়ে সেন্টার ফর রিচার্স এন্ড ইনফরমেশনের সহায়তায় রোড টু স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি আরো বলেন জামাত অনিবন্ধিত দল। তাদের নির্বাচনে আসার প্রশ্নই আসে না। তবে তারা বিএনপি’র কাঁধে চেপে বসেছে। বিএনপিও নির্বাচনে আসতে পারে না। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া দন্ডিত আসামী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুকম্পায় তিনি জেলের বাইরে থেকে চিকিৎসাধীন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মানি লন্ডারিং মামলা ও ১০ ট্রাক অস্ত্র চালান মামলা এবং গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত হওয়ার আগে থেকেই তিনি পলাতক এবং লন্ডনে বিলাসবহুল জীবন যাপন করছে। তাই মুন্ডুহীন বিএনপি নামক শবদেহটির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মত উপযুক্ত মানুষ নেই। তাই তারা নির্বাচনে আসে নি ও আসবেও না। তিনি এ প্রসঙ্গে আরো বলেন স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের নীতিমালায় সুষ্পষ্টভাবে নির্দেশনা রয়েছে যে, কোনো নিবন্ধিত দল যদি পরপর দুইবার জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেন তাহলে ঐ দলটির নিবন্ধন এমনিতেই বাতিল হয়ে যাবে। এ কারণে দলটি এবার নির্বাচনে না এলেও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসতে বাধ্য হবে। প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কবির বিন আনোয়ার মুঠোফোনে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মাার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে এখন প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন স্তরে শিক্ষা, শিল্প ব্যবসা, বাণিজ্য, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে তথ্য প্রযুক্তির আওতায় এসে কর্ম সৃজনের পথ উন্মুক্ত হয়েছে। তাই তথ্য প্রযুক্তি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের প্রথম সোপান। এই সোপানে পা রেখেই এগুতে হলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। তাই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নেতাকর্মীরা ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে সেজন্য তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। চট্টগ্রাম-১০ আসনে নৌকার প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বদিউল আলমের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ও প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব মো: মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, আমি নির্বাচিত হলে আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী যে সমস্যাগুলো সমাধানযোগ্য সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করতে চেষ্টা করবো এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে আমার নির্বাচনী এলাকা সকল ভোটারকে স্মার্ট নাগরিকে পরিণত করতে সচেষ্ট হব। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাজী মো: হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য বখতিয়ার উদ্দিন খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন খোকা, কাউন্সিলর মোরশেদ আলম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আতিকুর রহমান, শেখ সরওয়ার্দ্দী, নুরুল আমিন, কায়সার মালিক, সৈয়দ মো: জাকারিয়া, আবুল কাশেম, আবদুল্লাহ আল ইব্রাহিম, অধ্যাপক মো: ইসমাইল, দিদারুল আলম মাসুম, লুৎফুল হক খুশি। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার দেব। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক টিকো চাকমা, এড. তানজিনা মান্নান যুথী, ইমরান হোসেন, মো: জুয়েল প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ