চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) চতুমূর্খী লড়াই তবে নৌকাকে চ্যালেঞ্জ স্বতন্ত্র প্রার্থীর

সুজিত দত্ত, স্টাফ রিপোর্টারঃ

চতুমূর্খী লড়াইয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে দলীয় নৌকার প্রার্থী ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তৃতীয় বারের এমপি ও হুইপ শামসুল হক চৌধুরী (ঈগল) দুই ডামি প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা। এছাড়াও এ ভোট যুদ্ধে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএন) এয়াকুব আলী নোঙ্গর প্রতীক ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এম এ মতিন মোমবাতি সহ আরও ৪ প্রতিদদ্ধীকারী মাটে প্রচার-প্রচারনায় ব্যস্ততম সময় পার করছেন। এবার আওয়ামী লীগ থেকে চতুর্থ বার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে শামসুল হক স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ঈগল প্রতীক নিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণে এবারও শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। মনোনয়ন বঞ্চিত হুইপ শামসুল হক চৌধুরী ২০০৮ সাল সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নৌকার মনোনয়ন পেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় প্রথম বার এমপি নির্বাচিত হন। এর আগে এ আসনে কোনোও আওয়ামী লীগ নেতা বিজয়ী হয়নি। এর পর ২০১৪ ও ১৮ সালে তাকে নৌকার মনোনয়ন দেন। তিনি তিন বারে এমপি নির্বাচিত হয়ে বতমানে হুইপ। তিনি নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলামকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীক নিয়ে চতুর্থ বার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণায় নেমেছে। তাদের সঙ্গে রয়েছেন আওয়ামী লীগ অনেক পদধারী নেতারা। তাই নির্বাচনী মাঠে তাদের চ্যালেঞ্জের মুখে নৌকার প্রার্থী। সরেজমিনে ভোটারদের সাথে আলাপ কালে জানা যায়, যারা নৌকার প্রার্থী হয়ে পূর্বের নির্বাচনগুলো নির্বাচিত হয়ে ছিল তারা এখন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাদের চেয়ে নতুন প্রার্থীদের অবস্থান কোনো অংশে কম নয়। এ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ.লীগ মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীদের অবস্থান আশাব্যঞ্জক। নৌকা জয় ধরে রাখতে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে পারে। এবং বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটা স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন বলে সচেতন মহলের ধারণা। ১৭টি ইউনিয়ন সহ ১টি পৌরসভা নিয়ে এ আসনটি গঠিত। মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৯ হাজার ৪২৮ জন। নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী তিন বারের এমপি শামসুল কে
নৌকার প্রার্থী পরিবর্তন করে আমাকে নৌকার মনোনীত করেছেন। তার ১৫ বছর নানান অপকর্মের হোতা স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বজনদের অপকর্মের কারণে জনরোষের শিকার হচ্ছেন। তাই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা অপপ্রচারে লিপ্ত। তার ভাই নবাব, মহব্বত সহ আত্মীয় স্বজনরা সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে ভূমিদস্যুতা ও অবৈধ বালি মহালে কারবার চালিয়েছে। সরকারের উন্নয়ন কাজে দুর্নীতি করে বিপুল অর্থ লোপাট করেছে। ইয়াবা, মাদক, কিশোর গ্যাং, চাদাঁবাজ, ভূমিদস্যু, পরিবারতন্ত্র ও অহিংস রাজনৈতিক, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করে হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনে স্মার্ট পটিয়া গড়ে তুলব। নৌকার জয় নিশ্চিত।
স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) শামসুল হক চৌধুরী এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা উন্মুক্ত নির্বাচন ঘোষণা দেওয়ায় আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। এবং প্রতীক বর্রাদ্দের পর গণসংযোগ সময় নৌকার সমর্থকরা বিভিন্ন এলাকায় এ পর্যন্ত ১০ টি গাড়ি ভাংচুর, গাড়িবহরে হামলা-সংঘর্ষ গাড়ির চাকা কেটে দেয়া সহ নির্বাচনী প্রচারনায় বাঁধা প্রধান করে স্বতন্ত্র সমর্থকদের উপর সহিংসতার হামলা চালিয়ে ২০ জনকে আহত করে। ২০০৮ সাল থেকে টানা তিন বার এ আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। ভোটাররা উন্নয়ন কাজে মুল্যায়ণ করবেন। মাঠে সক্রিয় রয়েছি। আওয়ামী লীগ তার নেতৃত্বে শ্রদ্ধাশীল। এলাকার বিভেদ, বিশৃঙ্খলা, চাঁদাবাজি, রাহাজানি, সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের সৃষ্টি করিনি। কাউকে করতে দেইনি। প্রমাণ হবে ৭ জানুয়ারি বিজয় সুনিশ্চিত। ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান এম এ মতিন
মোমবাতি বলেন, সুষ্ঠু, শান্তি-শৃঙ্খলা পরিবেশে ও বিপুল ভোটার উপস্থিতে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের উপর আত্মা-বিশ্বাস রেখেই এ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছি। তাই সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয় নিশ্চিত। (বিএনএন) এয়াকুব আলী নোঙ্গর বলেন, ২০১৪ ও ১৮ সালের মতো নির্বাচন হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার প্রতিশ্রুতির উপর বিশ্বাস রেখে নির্বাচনে এসেছি। নির্বাচিত হলে ইয়াবা, মাদক, কিশোর গ্যাং, চাদাঁবাজ, পরিবারতন্ত্র, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত সমাজ গড়ে তুলব। পটিয়ার হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনব ও স্মার্ট পটিয়া গড়ে তুলব। জয়ের বিষয়ে সু-নিশ্চিত। এছাড়াও এ ভোট যুদ্ধে আরও ৪ প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক নুরুচ্ছফা সরকার লাঙ্গল, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট মাওলানা কাজী মুঃ জসিম উদ্দিন চেয়ার, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মাওলানা জয়নাল আবেদীন জেহাদী ডাব, তৃনমুল বিএনপির রাজীব চৌধুরী সোনালী আশ।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ