শেখ হাসিনার চিন্তন-কৌশলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অপশক্তির মুখে বড় চপেটাঘাত

হোসেন মিন্টুঃ

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন সকল শক্ত চ্যালেঞ্জ, দেশী-বিদেশী অপশক্তির চোখ রাঙানিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তুবড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্ধিতামূলক করে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেছেন বলে মন্তব্য করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় নির্বাচনে তাঁর কৌশলগত অবস্থানে এদেশের গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক মানুষের অভাবিত বিজয় অর্জিত হয়েছে। এই বিজয়কে নানা ধরনের কূটকৌশলে প্রশ্নবিদ্ধ করতে যারা চায় তারা ৭১’র পরাজিত শক্তির পেতাত্মা এবং জনগণের প্রতি তাদের আস্থা, বিশ্বাস এবং ভরসা নেই। এই নির্বাচন নিয়ে দেশবাসীর উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও দলীয় সরকারের অধীনে শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে এই দৃষ্টান্ত নতুন করে স্থাপিত হয়েছে। এই দৃষ্টান্ত বিশ্বের সকল শান্তিকামী মানুষের জন্য একটি শুভ বার্তা এবং শেখ হাসিনার চিন্তন কৌশলে অনুষ্ঠিত অংশগ্রহণমূলক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশি-বিদেশী অপশক্তির মুখে বড় চপেটাঘাত। তিনি গতকাল বিকেলে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ৫২ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, নির্বাচন বানচাল করার শত অপচেষ্টার মুখে এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার জন্য দলীয় প্রতীকের বাইরেও দলের মধ্যে যারা নির্বাচন করতে চান তাদেরকে প্রতিদ্বন্ধিতা করার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন এবং তিনি সকল নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল দল ও প্রার্থীর অনুকূলে ভোটাররা যাতে তাদের রায় প্রদান করতে পারেন সেজন্য অনুকূল পরিবেশ ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করার অবারিত সুযোগ করে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে কারো পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার ব্যাপারে দলীয় নেতাকর্মীদের উপর বাধ্যবাধকতা ছিল না। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন পরাজিত প্রার্থীরা নানা ধরনের অনভিপ্রেত মন্তব্য করে চলেছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের অনেক পরাজিত প্রার্থীরাও আছেন। সবচেয়ে বড় কথা হল দলের মধ্যে কিছু সুযোগ সন্ধানী ব্যক্তি থাকেই। দলের নিয়মিত কর্মকান্ডে তারা মাঠে না থাকলেও সুযোগ বুঝে ব্যক্তিক ফায়দা লুটার জন্য নানা ধরনের ছলচাতুরি করে থাকেন। এবারও কেউ কেউ তা করে চলেছেন, এখন নির্বাচন শেষ। নির্বাচনী মাঠে শেখ হাসিনার কৌশল ও অবস্থান বিজয়ী হয়েছে। বিজয়ী শক্তি হিসেবে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো বিদ্যমান তা মোকাবেলায় শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ৭১’র ১৬ই ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাধ্যমে দেশ হানাদার মুক্ত হলেও পরিপূর্ণ বিজয় সেদিন আসেনি। ১০ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক বিজয় পরিপূর্ণতা অর্জণ করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে ধূলিসাৎ করতে চাইলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লড়াকু প্রচেষ্টায় আওয়ামী লীগ ঘুরিয়ে দাঁড়িয়েছিল এবং মুক্তিযুদ্ধের বিজয় এবং গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা সুরক্ষায় তিনি অবিরাম লড়াই চালিয়ে সফল হয়েছেন। তিনি আরো বলেন ৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার জয় হয়েছে, জনগণের জয় হয়েছে, শান্তিকামী মানুষের জয় হয়েছে। বাঙালির প্রতিটি বিজয়কে নস্যাৎ করার জন্য অতীতে ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখনো হচ্ছে এবং হবে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আমাদেরকে রাজপথে থেকে শেখ হাসিনার আরাধ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে লড়াই চলমান রাখতে হবে। তিনি এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন, নিজে এবং নিজের পরিবার স্মার্ট না হলে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে না। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি প্রধান উপাদান হলো স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট সরকার। এই চারটি উপাদান অন্তরে ধারণ করে লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যেতে পারলেই উন্নত বাংলাদেশ রূপান্তর সময়ের ব্যাপার মাত্র। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বদিউল আলম, উপদেষ্টা আলহাজ্ব শফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সাংসদ নোমান আল মাহমুদ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী,নির্বাহী সদস্য আবুল মনসুর,থানা আওয়ামী লীগের ছিদ্দিক আলম,সাহাব উদ্দিন আহমদ,অধ্যাপক আসলাম হোসেন,ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের স্বপন কুমার মজুমদার,সৈয়দ মো: জাকারিয়া,আতিকুর রহমান, কাজী হুমায়ুন আলম মুন্না, ইলিয়াছ সরকার। সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, হাজী মো: হোসেন,আবু তাহের, ডা: ফয়সল ইকবাল চৌধুরী,নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আমিনুল হক, আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ, জাফর আলম চৌধুরী,মোরশেদ আকতার চৌধুরী,সাবেক যুবনেতা সৈয়দ মাহমুদুল হক, দেলোয়ার হোসেন খোকা,থানা আওয়ামী লীগের মো: ইলিয়াছ, আনছারুল হক,মো: সালাউদ্দিন,আবদুন নবী লেদু, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের হাজী আলী বক্স,ইকবাল হাসান, জামাল উদ্দিন,কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো: গিয়াস উদ্দিন,কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক,কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব,জাফরুল হায়দার সবুজ, আবুল হাশেম বাবুল,মিথুন বড়ুয়া,গোলাম মো: জোবায়ের, আবুল কাশেম,দিলদার খান দিলু,তানভীর আহমেদ,নাজিম উদ্দিন চৌধুরী,জানে আলম, নুরুল আজিম নুরু,আবদুল মালেক,মাহবুব কোম্পানী, ফারুক আহমেদ, লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য্য,আবদুল আজিজ মোল্লা,মো: জামাল উদ্দিন,আনিসুর রহমান ইমন, রিদুওয়ানুল হক,মো: মুছা, হাবিবুর রহমান,সাইফুল আলম বাবু,আবদুর রহিম,গিয়াস উদ্দিন জুয়েল,জসিম উদ্দিন, ইফতেখার আলম জাহেদ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ