চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক সম্পন্ন
চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক সম্পন্ন
হোসেন বাবলা, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
দেশের সবচাইতে ধনী ক্রীড়া সংস্থা হচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা। কিন্তু আর্থিক দিক থেকে ধনী হলেও খেলাধুলার দিক থেকে ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে সংস্থাটি। জাতীয় পর্যায়ের খেলাধুলায় এখন আর তেমন আধিপত্য দেখাতে পারছে না বীর চট্টলার এই সংস্থাটি। গত এক দশকে বের হয়ে আসেনি কোন জাতীয় মানের ক্রীড়াবিদ। শুধু তাই নয়, মাঠ সংকটের এই দিনে সবেদন নীলমনি এম এ আজিজ স্টেডিয়ামেরও নেই তেমন কোন উন্নতি। দেশের সবচাইতে ধনী ক্রীড়া সংস্থা হলেও এই স্টেডিয়ামে নেই কোন ঘাস কাটার মেশিন। নেই কোন পিচ রোলার বা মান সম্মত কোন পিচ কাভার। অনেকটা ধার দেনা করে চলা সংস্থার নির্বাহী কার্যক্রম চলছে। তারপরও সংস্থাটির নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহি কমিটির অভিষেকে শোনানো হলো আশারবানী। যদিও সেই আশারবানী বারবার শুনেছে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গন। কিন্তু সে আশারবানীর বাস্তবায়ন তেমন দেখা যায়নি। গত ১৬জানুয়ারি রাতে নগরীর চিটাগাং ক্লাবে আয়োজিত অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করতে গিয়ে সিজেকেএস সভাপতি এবং জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম জেলার সবকটি ইউনিয়নে একটি করে খেলার মাঠ নির্মাণের প্রকল্প এগিয়ে চলছে। আউটার স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজও এগিয়ে চলছে। পাশাপাশি এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম ভবনটিকে বহুতল বিশিষ্ট জিমনেসিয়ামে পরিণত করা সহ স্টেডিয়ামের সামনের মাঠটাকে টার্ফে পরিনত করে সেটাকে কেবল মাত্র নারীদের ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত রাখার কথাও জানান। এছাড়াও যেখানে খেলার মাঠ রয়েছে সেগুলোকে খেলার উপযোগী করে গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, নির্বাচনের পর নতুন কমিটি দায়িত্ব নিয়ে এরই মধ্যে একটি ক্রীড়াপঞ্জি প্রণয়ন করেছেন তারা। যে ক্রীড়া পঞ্জি অনুযায়ী আগামী চার বছরে জেলা ক্রীড়া সংস্থার খেলা সমুহ পরিচালিত হবে। তিনি বলেন বাংলাদেশে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থাই একমাত্র সংস্থা যারা সবচাইতে বেশি ইভেন্ট চর্চা করে থাকে। যদিও দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, এতবেশি ইভেন্ট চর্চা করতে গিয়ে মুল ইভেন্ট গুলোর দিকেই যেন দৃষ্টি দিতে পারছেনা সংস্থাটি। যে কারণে বেরিয়ে আসছেনা মান সম্মত ক্রীড়াবিদ। পাশাপাশি জাতীয় পর্যায় থেকে আসছেনা তেমন সাফল্য। তবে আগামীতে কি সাফল্য বয়ে আনে এই কমিটি সেটাই দেখার বিষয়। তবে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গন সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা অতীতের সাফল্য-ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে নিশ্চয়ই এই কমিটি চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য ভাল কিছু বয়ে আনবে। অনুষ্ঠানে কাউন্সিলরদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করান। উক্ত অভিষেক অনুষ্ঠানে সিজেকেএস কার্যনির্বাহী কমিটির বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাবৃন্দ, কাউন্সিলরবৃন্দ, বিভিন্ন উপ-কমিটির কর্মকর্তাবৃন্দসহ চট্টগ্রামের ক্রীড়া সংগঠক, ক্রীড়াবিদ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সিজেকেএস নির্বাহী কমিটির কার্যক্রম বন্ধ রাখতে জেলা ক্রীড়া সংস্থা সদস্য সংগঠন মাদারবাড়ি মুক্তকন্ঠ ক্লাব তাদের প্রতিনিধিত্বশিপ দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে আইনী নোটিশ সংস্থার নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী কর্মকর্তা বৃন্দ।আর এই কারণেই অনেক টা তড়িগড়ি করে অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।