কালো পতাকায় বিএনপি’র রাজনৈতিক দাফন শেষ হয়েছে

হোসেন মিন্টুঃ

চট্টগ্রাম ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনের কথা বলছে এবং আমরাও নির্বাচনের কথা বলি। নির্বাচন অবশ্যই হবে এবং তা হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষে ২০২৮ সালের আগে নয়। কেননা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান সম্মতভাবে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাই এই জাতীয় সংসদের সাংবিধানিক বৈধতা রয়েছে। বিএনপি আজ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের শুরুর দিনে কালো পতাকা উড়িয়ে প্রমাণ করেছে বিএনপি নামক অগণতান্ত্রিক দলটির রাজনৈতিক দাফন সুসম্পন্ন হয়েছে। তাই তারা আর কোন দিন নির্বাচন করা তো দূরের কথা রাজপথে থাকার গণতান্ত্রিক অধিকার হারিয়েছে। তিনি গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট চত্বরে অনুষ্ঠিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বিএনপি কখনো চায়নি এদেশে অংশগ্রহণমূলক জাতীয় সংসদ নির্বাচন হউক। কেননা এই দলটি নেতৃত্বহীন। এই দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত হয়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুকম্পায় অসুস্থ অবস্থায় নিজের বাস ভবনে বা কখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বলা চলে তিনি রাজনীতির সাথে সম্পর্কহীন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান ও গ্রেনেড হামলার মামলায় আদালত কর্তৃক দন্ডিত একজন পলাতক আসামী। তিনি লন্ডনে বসে চাঁদাবাজী করছেন এবং পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের যোগসাজসে বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বাংলাদেশে ঢোকার তার কোন সাহস নেই। বাংলাদেশে ফিরলেই তার স্থান হবে কারাগারে। এই কারণে নেতৃত্বহীন বিএনপি কখনো নির্বাচন চাইতে পারে না এবং ভবিষ্যতেও চাইবে না। তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, আওয়ামী লীগ আন্দোলনে বিশ্বাসী এবং সকল দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা চাই বিএনপি গণতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করুক। কিন্তু তারা যদি আন্দোলনের নামে নাশকতা, নৈরাজ্য ও অগ্নি সন্ত্রাস করে তাহলে তাদেরকে চিরকালের জন্য নির্বাসন দেয়া হবে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বদিউল আলম বলেন, বিএনপি বারবার পরাজিত ও জনগণ থেকে প্রত্যাখাত হয়েছে। তারপরও তারা কখনো পরাজয় ও গণপ্রত্যাখান থেকে কোন শিক্ষা গ্রহণ করেনি। তারা যে বারবার ভুল করে যাচ্ছে এ কথাও তারা স্বীকার করে না। কোন রাজনৈতিক দল যদি ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ না করে সেই দলের অস্তিত্ব থাকতে পারে না। তাই বিএনপি এখন শিকড়হীন মৃত বটবৃক্ষ। এই বৃক্ষের যেমন প্রাণ নেই তেমনি বিএনপিও প্রাণহীন একটি লাশ ছাড়া আর কিছুই নয়। বিএনপি নিজেই আজ কালো পতাকা উড়িয়ে লাশ দাফনের শোকের প্রকাশ ঘটিয়েছে। তারা এই লজ্জ্বা কি দিয়ে ঢাকবে জানিনা। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব খোরশদ আলম সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, থানা আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম কায়সার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের স্বপন কুমার মজুমদার, দিদারুল আলম মাসুম, সাইফুল আলম বাবু, মিথুন বড়ুয়া, ইফতেখার আলম জাহেদ। সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ হোসেন, উপ প্রচার সম্পাদক শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, শাহাজাদা কাজী আব্দুল মালেক, তানভীর আহমেদ চৌধুরী, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আকবর আলী আকাশ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ