খাজা নিজামুদ্দিন আউলিয়া মাহবুব ইলাহী কনফারেন্স সম্পন্ন

হোসেন মিন্টুঃ

হযরত খাজা নিজামুদ্দিন আউলিয়া মাহবুব ইলাহী কনফারেন্স ৩০ জানুয়ারী বুধবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আলহাজ্ব মাওলানা নুর মোহাম্মদ আলকাদেরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। আল্লামা মুফতি ছৈয়দ সামছুদোহা বারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা ছৈয়দ খাজ শরীফ নিজামী। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুরশিদ নিজামী। আলোচক ছিলেন হযরত আল্লামা কাজী মঈন উদ্দীন আশরাফী, হযরত আল্লামা সাদেকুর রহমান হাশেমী, হযরত আল্লামা এরফান রহমান হাশেমী, হযরত আল্লামা মাসুদ রেজভী, হযরত আল্লামা সাইদুর রহমান হাশেমী, হযরত আল্লামা জিয়াউদ্দীন হাশেমী, হযরত আল্লামা রিদোওয়ানু হক হক্কানী, হযরত আল্লামা শিব্বির আহম্মদ উসমানী, হযরত আল্লামা আবুল এহছান হাশেমী, হযরত আল্লামা আরিফুর রহমান, হযরত আল্লামা ছৈয়দ আশেকুল বারী, হযরত আল্লামা সাইফুল ইসলাম বারী, হযরত আল্লামা নাছির উদ্দীন চিশতি প্রমুখ।কনফারেন্সে বক্তারা বলেন-সুলতান-উল-মাশায়েখ, মেহবুব-এ-ইলাহি, শেখ খাজা সৈয়দ মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন আউলিয়া নিজামুদ্দিন নামেও পরিচিত, হলেন ভারতীয় উপমহাদেশে চিশতিয়া তরিকার একজন প্রখ্যাত সূফি সাধক। ভারতে চিশতিয়া তরিকার অন্যতম মহান সূফি সাধকদের মধ্যে তিনি একজন। তাঁর মূল ফরিদ উদ্দিন গঞ্জেশকার, কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী হয়ে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির সাথে মিলিত হয়। এই অনুযায়ী তারা চিশতিয়া তরিকা মৌলিক আধ্যাত্মিক ধারাবহিকতা বা সিলসিলা তৈরী করেছেন, যা ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যাপকভাবে প্রচলিত। নিজামুদ্দিন আউলিয়া, তার পূর্বসূরীদের ন্যায়, প্রেম বা আল্লাহ প্রাপ্তির পন্থা বা পথ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার মতেষ্ট্রার প্রতি ভালবাসা মানবতার প্রতি ভালবাসার জন্ম দেয়। জিয়াউদ্দির বারানি নামে চৌদ্দ শতকের একজন ঐতিহাসিক দাবি করেন যে, দিল্লির মুসলমানদের উপর তার প্রভাব এমন ছিল যে পার্থিব ব্যাপারে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি উল্লেখযোগ্য ভাবে পরিবর্তিত হয়। মানুষ আধ্যাত্মিকতা এবং ইবাদতের প্রতি মনোযোগী এবং দুনিয়াবী চিন্তা থেকে পৃথক হয়ে পড়ে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ