মামুরখাইন শ্রী শ্রী হরি মন্দিরে মহোৎসব উপলক্ষে মহতি ধর্মসভা অনুষ্ঠিত

হোসেন মিন্টুঃ

আনোয়ারা উপজেলাধীন মামুর খাইন শ্রীশ্রী হরি মন্দির ১৯তম মহোৎসব ও শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল এক মহতি ধর্মসভা মহোৎসব উদ্যাপন কমিটির সভাপতি শ্রী বাসু দেব আইচ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গীতা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আর কে দাশ রুপু। আশীর্বাদক শ্রীমৎ রবিশ্বরানন্দ পুরি মহারাজ, শ্রীমৎ মানিকানন্দ পুরি মহারাজ ও সম্মানিত নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখলেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বহু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার, নির্মাতা, শ্রী শ্রী কৈবল্যধাম ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য, শ্রীযুক্ত বাবু মনি লাল দাশ। প্রধান বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট ধর্মতত্ত্ববিদ, অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী। মহোৎসব উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও মহোৎসব প্রতিষ্ঠাতা লায়ন সন্তোস কুমার নন্দী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সমকালের ডিজিএম সুজিত কুমার দাশ, আনোয়ারা উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শ্রী গৌতম দাশ, জাতীয় গীতা পরিষদ আনোয়ারা উপজেলা শাখার সভাপতি সুভাষ সেন। আলোকিত বক্তব্য পড়ৈকোড়া ইউনিয়ন গীতা শিক্ষা কমিটির সভাপতি মাস্টার উজ্জ্বল দাশ, মহোৎসব কমিটির প্রধান উপদেষ্টা কৃষ্ণা গুহ, দীপক গুহ, মহোৎসব কমিটির প্রধান তত্ত্বাবধায়ক গৌতম গুহ, সাংবাদিক সুনিল আকাশ, শিক্ষক সমীর দাশ। মন্দির কমিটির সভাপতি অনিল আইচ, সাধারণ সম্পাদক শ্রী উজ্জ্বল দাশ, অর্থ সম্পাদক উত্তম কুমার গুহ, সন্তোস গুহ, মহোৎসব কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিল্টন নন্দী, অর্থ সম্পাদক রিটন নন্দী, কাঞ্চন আইচ, যীশু দাশ, রিংকেল গুহ, নেপাল আইচ, রাজীব নন্দী, বাসু নন্দী, হারাধন গুহ, পিকলু মল্লিক, নিউটন নন্দী, সুমন চৌধুরী, রিপন নন্দী, পরিমল আইচ, সুমন গুহ, চন্দন আইচ, কাঞ্চন গুহ, মুন্না গুহ, মন্দির গণশিক্ষা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অলক গুহ, বিজয় নন্দী, মাইকেল নন্দী, সুজন আইচ প্রমুখ। পরিশেষে স্বর্গীয় নগরবাসী নন্দী ও মাতা রানী বালা নন্দীর স্মরণ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এবং গীতা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। চমৎকার, অধিবাস কীর্তন পরিবেশন করেন বিশিষ্ট কীর্তনীয়া, কক্সবাজারের কৃতি সন্তান, শ্রী জিকু কৃষ্ণ দাস বাবাজি। মহোৎসব প্রতিষ্ঠাতা লায়ন সন্তোষ কুমার নন্দী বলেন-ব্রাহ্মণ, বৈষ্ণব, মহাত্মা মহারাজ, বিভিন্ন পর্যায়ের অতিথি বৃন্দ, ভক্তবৃন্দের আগমনে মহোৎসব সার্বজনীন মহামিলনে রাধাকৃষ্ণের বৃন্দাবনে পরিণত হয়েছে। কৃতজ্ঞতা চিত্তে স্মরণ করি। আমি যাদের কারণে এই মহোৎসব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হইছি। শ্রী শ্রী হরি ঠাকুরের কৃপা নিয়ে ১৮ বছর আগে এ মহানামযজ্ঞ, মহোৎসব, নিজ গ্রামে মন্দির প্রাঙ্গনে প্রতিষ্ঠা করি শুরু করি, এই বছর ১৯ বছরের পদার্পণ করেছে মহানামযজ্ঞ, মহোৎসব। গ্রামের নবীন প্রবীণ সমন্বয়ে এই মহানামযজ্ঞ মহোৎসব প্রতিষ্ঠা করি। প্রতিষ্ঠালগ্নে যারা আমার সাথে শ্রম, মেধা, অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রত্যেকের নাম আমার ব্যক্তিগত ডায়েরিতে লিখিত আছে এবং তাদের উপর শ্রী হরি ঠাকুরের কৃপা বর্ষিত হোক।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ