চট্টগ্রাম’র পটিয়া উপজেলায় মাতালের দায়ের কোপে কৃষক নিহত
চট্টগ্রাম’র পটিয়া উপজেলায় মাতালের দায়ের কোপে কৃষক নিহত
সুজিত দত্ত, স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রাম’র পটিয়া উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় মদ্যপায়ী রুপস দে (৪৮) নামে এক ব্যাক্তি মদপান করে অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে ধারালো দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে লাথি মেরে পাশে একটি পুকুরে পেলে দিয়ে জানিক দে (৭০) নামের এক বৃদ্ধ কৃষক কে হত্যা করা হয়েছে। এর পরে রুপস দে তার বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী মমতা দে কে গুরুতর আহত করে রুপস দে পালিয়ে যায়। নিহত বৃদ্ধ কৃষক উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড সচি দের পুত্র। মদ্যপায়ী রুপস দে একই এলাকার রনি দের পুত্র। পটিয়া থানার পুলিশ পাশের একটি পুকুর থেকে বৃদ্ধ কৃষক জানিক দের লাশ উদ্ধার করেছেন। গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত বৃদ্ধ কৃষকের স্ত্রী সনজিলা দে সহ স্হানীয় সুত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বৃদ্ধ কৃষক জানিক দে কৃষি কাজ শেষে রাত ১০ টার দিকে বাড়ির অদূরে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে মদ্যপায়ী রূপস দে মদপান করে বৃদ্ধ কৃষকের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ধারালো দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে পাশে একটি পুকুরে ফেলে দেওয়া পরে আবার মদ্যপায়ী রুপস দের তার বাড়িতে গিয়ে অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে তার স্ত্রী মমতা দে কে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রুপস দে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্হানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় রুপস দের স্ত্রীকে উদ্ধার করে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাটানো হয়েছে। রুপস দে স্ত্রী চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।স্থানীয়রা পুকুরে পানিতে বৃদ্ধ কৃষকের লাশ ভাসতে দেখে পটিয়া থানার পুলিশকে খবর দিলে থানার পুলিশ রাত ১০ টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে। উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ি এলাকা হয়ে মাদকের চালান পটিয়া উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড সহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ি মাদক পাচার করে আসছে এবং সন্ধ্যা নামলে মদ্যপায়ীদের উৎপাত বেড়ে যায়। পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জসীম উদ্দিন বলেন, খরব পেয়ে পটিয়া থানার একদল পুলিশ ঘটনার স্হলে গিয়ে একটি পুকুর থেকে বৃদ্ধ কৃষককের লাশ উদ্ধার করে আসমী রুপাস দের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে হত্যা করার দুটি ধারালো দা সহ ৩ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করেছেন। কিন্তু আসামী রুপাস দে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এবং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। মামলার দায়ের প্রস্তুতি চলছে।