বাঙালি জাতির পরিপূর্ণ মুক্তি ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন

হোসেন মিন্টুঃ

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চে ১৯ মিনিটের ঐতিহাসিক ভাষণের প্রতি অক্ষর, শব্দ ও বাক্যকে স্বাধীন বাঙালি জাতিসত্তার অভ্যূদয়ের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ বলে অবহিত করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, এই ভাষনটি ছিল স্বাধীনতার বীজ বপনের মন্ত্রণা এবং স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য একটি সঠিক নির্দেশনা। তাই এই ভাষনটি ইউনেস্কো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রামাণ্য দালিলিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বাঙালি জাতিকে মহিমান্বিত করেছে। তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস পালনোপলক্ষে নগরীর টিআইসি মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু মাত্র ভৌগলিক স্বাীধনতা ও একটি জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় সংগীতের জন্য লড়াই সংগ্রামের ডাক দেন নি। তাঁর মূল অভিপ্রায় ছিল বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। আন্তর্জাতিকভাবে মানুষের যে পাঁচটি মৌলিক অধিকার স্বীকৃত অর্থাৎ অন্ন, বস্ত, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই বাঙালি জাতির পরিপূর্ণ মুক্তি নিশ্চিত করা। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় ৭১’র পরাজিত শক্তি দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক চক্রান্তের নীল নকশা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর আকাক্ষা ও স্বপ্ন পূরণ অসম্ভব হয় পড়ে এবং বাংলাদেশ পুনরায় পাকিস্তান ভাবদ্বারায় নিমজ্জিত হয়। দীর্ঘ ২১ বছর বঙ্গবন্ধু তনয়া আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লড়াই সংগ্রামের মধ্যদিয়ে ক্ষমতাশীন হয়ে বঙ্গবন্ধুর আরাদ্য সোনার বাংলা বাস্তবায়নে নিবেদিত হয়ে বাঙালির লুণ্ঠিত অধিকার ও আকাক্ষা পুনরুদ্ধানের নিবেদিত হন এবং ধারাবাহিকভাবে চারবার ক্ষমতাশীন হয়ে তিনি মানুষের পাঁচটি মৌলিক অধিকার পুন:প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। তিনি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করেছেন এবং ২০৪১ সালের মধ্যেই এই দেশকে ষ্মার্ট ও উন্নত দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যে সাহসিকতার সাথে এগিয়ে চলেছেন। এই লক্ষ্য অর্জনে আমাদেরকে এক ও অভিন্ন ভাবে শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রায় অগ্রবর্তী বাহিনী হিসেবে সার্বক্ষনিকভাবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রেখে যেতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এ.কে.এম বেলায়েত হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, যুব ক্রীয়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, থানা আওয়ামী লীগের আনসারুল হক, প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আবুল হাশেম বাবুল, মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। সভা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, হাসান মাহমুদ শমসের, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, শহিদুল আলম, আবুল মনছুর, বখতেয়ার উদ্দিন খান, মোহাব্বত আলী খান, রোটারিয়ান মোহাম্মদ ইলিয়াস, ড. নেছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, হাজী বেলাল আহমদ, থানা আওয়ামী লীগের হাজী সিদ্দিক আলম, কাজী আলতাফ হোসেন, মোমিনুল হক, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, এ.এস.এম ইসলাম, নুর মোহাম্মদ নুরু, সৈয়দ মোহাম্মদ জাকারিয়া, ইসকান্দর মিয়া, আব্দুল আজিজ মোল্লা, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, মোহাম্মদ ইকবাল হাসান, আব্দুল আজিম, আতিকুর রহমান, রুহুল আমিন তপন, হাজী মোহাম্মদ হাসান, আব্দুস শুক্কুর ফারুকী, সাইফুল আলম বাবু, মিথুন বড়ুয়া, মাহাবুব কোম্পানী, দিদারুল আলম মাসুম, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, শেখ সরোয়ারদি, গিয়াস উদ্দিন জুয়েল, এরশাদ উল্লাহ, ইলিয়াস সরকার প্রমুখ। এর আগে সকালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে দলীয় জাতীয় দলীয় পতাকা উত্তলন শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয় একই সাথে মাইক যোগে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষন সম্প্রচার করা হয়। সভার শুরুকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ