পটিয়ায় হত্যা মামলার ৪ মাসের মাথায় কবর থেকে লাশ উত্তোলন

সুজিত দত্ত,স্টাফ রিপোর্টারঃ

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও বৈদ্যপাড়া গ্রাম এলাকায় মোঃ আলমগীর আলম (৪৮) নামের এক ব্যক্তির লাশ নিজ পারিবারিক কবর স্হান থেকে প্রায় ৪ মাস আগে স্ত্রী-পুত্রের হাতে হত্যা মামলার অভিযোগ দায়ের ৪ মাসের মাথায় ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গতকাল সোমবার পটিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজ ও থানার একদল পুলিশ কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।নিহত আলমগীর ছোট বোন ছেনোয়ারা বেগম ও মামলার সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক অশান্তির ও নিহত আলমগীর পক্ষাঘাত রোগে আক্রান্ত কারণের তাকে তার স্ত্রী ও ছেলে অসুস্থ অবস্থায় গত ৫ ডিসেম্বর তার ঘর থেকে বের করে দিলে নিহত আলমগীর সেই দিন রাতে বাড়ির পাশে চায়ের দোকানে থাকা অবস্থায় হাইদগাঁও এলাকার স্থানীয় লোকজন তাকে রাতে তাকে তার নিজ ঘরে দিয়ে আসেন। গত ৬ ডিসেম্বর সকালে নিহত আলমগীরে স্ত্রী ও ছেলে এলাকায় স্হানীয় লোকজনে কাছে নিহত আলমগীর গভীর রাতে হঠাৎ সেই হার্ট এট্যাকে নিজ শয়নকক্ষে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে এলাকায় খবর প্রচার করে। এবং এ বিষয়ে তার স্ত্রী ও ছেলে সন্তানকে দায়ী করে নিহত আলমগীর ছোট বোন ছেনোয়ারা বেগম নিহত আলমগীর স্ত্রী শাহিদা (৩৬) ও ছেলে খোরশেদ (২৩) নামের দুজনের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় একটি হত্যা মামলার দায়ের করতে গেলে থানার পুলিশ হত্যার মামলা গ্রহণ না করায় নিহতের বোন গত ১১ ডিসেম্বর পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যার মামলা দায়ের করার পর ১৩ ডিসেম্বর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিচারক বেগম তাররাহুম আহমেদ হত্যা মামলাটি আমলে নিয়ে ১৩ ডিসেম্বর আদালতে মামলার শুনানি শেষে এ বিষয়ে তিন কর্মদিবসে পটিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। পটিয়া থানার প্রতিবেদন দেয়ার পর আদালত নিয়মিত মামলা রুজু গ্রহণে আদেশ দেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজ বলছে, গত সোমবার কবর স্হান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করার লক্ষ্যে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত রিপোর্টের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। আজ মঙ্গলবার লাশটি কবরে দাফন করা হয়েছে। নিহত বাদীর আইনজীবী জসিম উদ্দিন বলছে আদালত নির্দেশে পটিয়া থানার ওসি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের পর তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার ৪ মাসের মাথায় আদালত লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত সোমবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ও পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ সাইফুল ইসলাম সহ একদল পুলিশ ঘটনা স্হলে উপস্থিত থেকে আদালতের আদেশে নিহত লাশ খবর থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে প্রেরণ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ