২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফার্নেস ওয়েল কর্ণফুলী নদীতে ছড়িয়ে পরিবেশ হুমকির মুখে
২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফার্নেস ওয়েল কর্ণফুলী নদীতে ছড়িয়ে পরিবেশ হুমকির মুখে
সুজিত দত্ত,স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়ন এলাকায় ২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফার্নেস ওয়েল কর্ণফুলী নদীতে পড়ে পরিবেশ হুমকির মুখে। এবং কর্ণফুলী নদীর পাড়ে অবস্থিত বারাকা শিকলবাহা পাওয়ার প্ল্যান্ট ও কর্ণফুলী পাওয়ার প্ল্যান্টের ফার্নেস ওয়েল কর্ণফুলী নদীতে ছড়িয়ে পড়েছে। গত রবিবার রাতে পাওয়ার প্ল্যান্টের নষ্ট ফার্নেস ওয়েল নদীতে ছড়িয়ে পড়লে কর্ণফুলীর শাহ আমানত ব্রীজ সংলগ্ন নদীর পূর্বে প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ফার্নেস ওয়েল ভেসে উঠলে নদীর পানি কালো হয়ে সামুদ্রিক প্রাণি ও মৎস্যজাত প্রানীর ক্ষতি হয়ে জীব বৈচিত্রসহ মৎস্যজাত প্রাণী হুমকির মুখে। স্হানীয় এলাকার লোকজন জানান, উক্ত পাওয়ার প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ নদীর কোল ঘেঁষে জেটিঘাট নির্মাণ করার ফলে কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা সৃষ্টি হয়। পাওয়ার প্ল্যান্টের পাশে বিশাল চর। জাহাজসহ নৌকা চরের কারণে এলাকার লোকজন চলাচল করতে পারে না। এবং কোলাগাঁও টেক এলাকার তিন কিলোমিটার বসতির জন্য কোলাগাঁও উপজেলার টেক এলাকায় খাল নামের যে শাখা খাল রয়েছে তা পাওয়ার প্ল্যান্টের লোকজন বন্ধ করে দেয়ায় পানি নিষ্কাশনে বিঘ্ন ঘটছে। অন্যান্য শাখা খালগুলোতে জোয়ারে পানিতে ঘর-বাড়িতে পানি প্রবাহিত হয়। পানিতে ফার্নেস ওয়েলের বর্জ্য থাকায় দূর্গন্ধে লোকজন বিপাকে পড়েছে। এ ব্যাপারে কোলাগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ হারুন জানিয়েছেন, পাওয়ার প্ল্যান্টের ফার্নেস ওয়েলের কারণে খালের পানি বাড়ির আশে পাশে ও পুকুরে প্রবেশ করার কারণে পানিগুলো ব্যবহারে অযোগ্য হয়ে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। জেটি ঘাটের কারণে নদীর নাব্যতা সৃষ্টি হওয়ায় জাহাজ নৌযানগুলো স্বাভাবিক ভাবে চলাচলে এলকার মানুষ ও নৌ যানে চলাচল করতে পারছে না। এ বিষয়টি পাওয়ার প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো স্বত্ত্বেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এ ব্যাপারে উক্ত দুটি পাওয়ার প্ল্যান্টের জিএম,র সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তারা মিটিংয়ে আছেন বলে জানান। তবে গত মঙ্গলবার বিকেলে পটিয়া সহকারী কমিশনার ভূমি প্লাবন কুমার বিশ্বাস স্থানীয় লোকজন থেকে অভিযোগ পেয়ে তিনি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে। তিনি নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়ার কারন জানতে চাইলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দায়িত্বশীলরা বৃষ্টির কারণে কিছু তেল নিঃসৃত হওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে এর মধ্যে জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ে এমন কাজ বন্ধ না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।