প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শেমু রহমানের কবর জিয়ারত করতে প্রেস ক্লাব কমিটির নির্বাচিতরা চট্টগ্রাম থেকে টুঙ্গী পাড়ায়
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শেমু রহমানের কবর জিয়ারত করতে প্রেস ক্লাব কমিটির নির্বাচিতরা চট্টগ্রাম থেকে টুঙ্গী পাড়ায়
হোসেন মিন্টুঃ
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব শতভাগ পতিত স্বৈরাচারের দলীয় করণ,
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শেমু রহমানের কবর জিয়ারত করতে প্রেস ক্লাব কমিটির নির্বাচিতরা চট্টগ্রাম থেকে টুঙ্গী পাড়ায়।
এতে দোষের কিছু মনে হত না যদি তারা পেশাগত দায়িত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে। পেশাগত দায়িত্বের বাইরে গিয়ে প্রেস ক্লাবকে দানবিক রাষ্ট্রের নির্মাণকারী গণহত্যাকারী একটি দলের দলীয় অফিসের মত উত্তর দক্ষিণ মহানগরের সাংগঠনিক কাজ কর্ম পরিচালনা করা দলীয় নেতাদের পাশে প্রেস ক্লাব নেতা পরিচয়ে বসে থাকা। বিএনপি বা বিগত সরকারের বিরোধী দলের পক্ষে নিউজ এবং নেতাদের সাথে ছবি দেখলে মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া। প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে ডিজিএফআই দিয়ে ফোন করানো হুমকি দেয়াসহ প্রেস ক্লাবের সদস্য না হলে সাংবাদিক না আরও কতকিছু। সবশেষে ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতার তালিকা করে বিভিন্ন থানাকে দেয়া।এমনকি আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতাকে পুলিশের ভ্যানে তুলে দেয়ার মত ঘটনাও ঘটিয়েছে প্রেস ক্লাবের দুর্নিতিবাজ নেতারা। গত ৫ আগস্ট সরকার পতন হলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা প্রেস ক্লাবের ঐসব সাংবাদিকদের খুজতে আসলে প্রেস ক্লাব ছেড়ে সবাই পালিয়ে যান দীর্ঘদিন যারা প্রেস ক্লাবের বাইরে ছিল তারা তখন উত্তেজিত ছাত্র জনতার হাত থেকে ক্লাবকে রক্ষা করেন। নিয়মের বাইরে গিয়ে কিছু করার পক্ষে আমি কখনো ছিলাম না আগামীতেও থাকব না। এক কথায় বৈষম্যর বিরুদ্ধে সাম্যর পক্ষে আমার অবস্থান সব সময়। আমি ব্যাক্তিগতভাবে কখনো পেশাগত দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কিছু করার চেষ্টা করিনি আগামীতেও করব না। বাস্তব সত্য লিখতে গিয়ে প্রকাশ করতে গিয়ে হয়তো অনেকে আমাকে পছন্দ নাও করতে পারে। বাস্তব জীবনে আমি সব সময় সত্য এবং বাস্তবতার পক্ষে। আমি সবসময় ক্ষমাশীল একজন ব্যক্তি। সংষ্কার ও শান্তিপূর্ণ সমাধান প্রক্রীরয়ার পক্ষে আমার সবসময় অবস্থান।
তবে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, আওয়ামী পরিবারের সদস্য চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আলী আব্বাসও দায়িত্ব ছিলেন এরা কখনো এভাবে প্রেস ক্লাবকে দলীয় করণ করেনি বলে ক্লাব সংশ্লিষ্টদের অভিমত। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বর্তমান কমিটির এমন কর্মকান্ডের জন্য সৎ নীতিবান সাংবাদিকরাও জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। প্রেস ক্লাবের নেতা পরিচয়ে গুটিকয়েক জন ১/১১’ পটভুমি থেকে আজ অবধি কয়েকশ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিকও তারা।
***আলগমীর নূর, আহ্বায়ক-বৈষম্য বিরোধী পেশাদার সাংবাদিক ঐক্য, সাধারণ সম্পাদক-চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ)।