হাতিয়ায় অভিযান চালিয়ে ১৪টি অবৈধ বেহুন্দী ও চায়না জাল জব্দ
হাতিয়ায় অভিযান চালিয়ে ১৪টি অবৈধ বেহুন্দী ও চায়না জাল জব্দ
মোজাহের ইসলাম নাঈম, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের খাল গুলোতে অবৈধ বেহুন্দী ও চায়না জাল বসানোর কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় অবৈধ ১৪টি বেহুন্দী ও চায়না জাল জব্দ করেন উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর।
আজ (২৯ আগষ্ট) বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে হাতিয়ায় বিভিন্ন স্থানে খাল গুলোতে অভিযান চালিয়ে মোট ১৪ টি অবৈধ বেহুন্দী ও চায়না জাল জব্দ করেন হাতিয়া উপজেলা মৎস্য অফিসার ফাহাদ হাসান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, হাতিয়া উপজেলা মেরিন ফিশারিজ অফিসার মোঃ আশারুল ইসলামসহ হাতিয়া থানা পুলিশ সদস্যগণ।
জেলেদের কেন এই অবৈধ বেহুন্দী ও চায়না জাল গুলো জব্দ করেছেন, এবিষয়ে জানতে চাইলে, হাতিয়া উপজেলা মৎস্য অফিসার ফাহাদ হাসান বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টির পানিসহ প্রবল জোয়ারে বন্যার পানি এলাকায় প্রবেশ করে সব ফসলি জমি, মাছের প্রজেক্ট সহ পুকুর গুলো ডুবে একাকার হয়ে যায়। সেজন্য আমাদের প্রথম কাজ হলো খাল গুলো দিয়ে অতি দ্রুত পানি সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা কিন্তু কিছু জেলে অবৈধ ভাবে খাল গুলোতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা অবৈধ বেহুন্দী এবং চায়না জাল বসানোর কারণে উপরের জমে থাকা পানির জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া বেহুন্দী জাল ও চায়না দুয়ারী জাল মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ অনুযায়ী সবসময় নিষিদ্ধ।
এদিকে বেহুন্দী জাল গুলো বারোমাস বসানো নিষিদ্ধ বা, অবৈধ জেনেও তারা খাল গুলোতে জাল বসানোর কারণে পানি অতিদ্রুত নামতে বাঁধার মুখে পড়ছে বিদায় বিভিন্ন এলাকায় রোগজীবাণু ছড়াচ্ছে। তাই আমরা হাতিয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর দিক নির্দেশনায় আজকের এই অভিযান পরিচালনা করে ১৪টি অবৈধ বেহুন্দী ও চায়না জাল জব্দ করি। পরে এগুলো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে আগুনে পোড়ানো হয়। এছাড়া এই অবৈধ বেহুন্দী ও চায়না জালের বিরুদ্ধে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।