পটুয়াখালী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় এক প্রশ্নে ৩৫ বানান ভুল নিয়ে যা জানালো কর্তৃপক্ষ

শ্রীঃ মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নে ৩৫টি বানান ভুল ছিল। সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ভুল বানানের ওই প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রিন্ট করতে গিয়ে ফন্ট ভেঙে যাওয়ায় এমন প্রশ্ন ছাপা হয়েছে। আর অভিভাবকরা বলছেন, প্রশ্ন করা এবং তা শিক্ষার্থীদের হাতে সরবরাহের আগে শিক্ষকদের আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল।

জানা গেছে, পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের গত ৫ ডিসেম্বরের বার্ষিক পরীক্ষায় ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্রে সৃজনশীল প্রশ্নে ৩৫টি বানান ভুল ছিল। আর সেই ভুল বানানের প্রশ্ন দিয়েই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

পরীক্ষা শেষে এক ছাত্রের অভিভাবক প্রশ্নে ভুলগুলো চিহ্নিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি পোস্ট করলে তার মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।

তবে এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়ের দিবা শাখার বাংলা শিক্ষক এস এম আবুল হোসেন প্রশ্নটি তৈরি করেন। ওই শিক্ষকের দাবি, তিনি ঠিকভাবেই প্রশ্ন তৈরি করে জমা দিয়েছেন এবং তার দেওয়া প্রশ্নে কোনো বানান ভুল ছিল না।

সহকারী শিক্ষক এস এম আবুল হোসেন বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত কম্পিউটারে টাইপ করে প্রায় দেড় থেকে দুই মাস আগে প্রশ্ন জমা দিয়েছি। আমার তৈরি করা প্রশ্নে কোনো বানান ভুল ছিল না। তবে এখন যে প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে ৩৫টি বানানের আ’কার এ’কার ভুল আছে।

এটা পরীক্ষা কমিটি বলতে পারবে কীভাবে ভুল হলো।বিদ্যালয়টির ষষ্ঠ শ্রেণির একাধিক ছাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, ৫ তারিখের পরীক্ষার প্রশ্নে বানানগুলো এমন ছিল যে, কোনো শব্দের শুরুতে ‘আ’ কার ‘এ’ না থাকলেও দেওয়া হয়েছিল। যে কারণে প্রথমে বুঝতে তাদের সমস্যা হয়েছিল।

তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিন বলেন, প্রশ্নপত্র ছাপার সময় প্রেসের লোকজন ফন্ট পরিবর্তন করতে গিয়ে আকার, একারসহ কিছু ফন্ট ভেঙে গেছে। এজন্য প্রিন্টার প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহি করা হচ্ছে। আগামীতে এ ধরনের ভুল যাতে না হয় সেজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি।

১৮৮৭ সালে পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রায় ১ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। আর ষষ্ঠ শ্রেণিতে এবছর বার্ষিক পরীক্ষা দিচ্ছে ২৩৯ জন।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ