রুশ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে সংঘর্ষ কৃষ্ণ সাগরে ভেঙে পড়ল মার্কিন ড্রোন

হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়রপ্রতিনিধিঃ

রাশিয়ার একটি যুদ্ধবিমানের তৎপরতায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর একটি ড্রোন কৃষ্ণসাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। এমকিউ–৯ রিপার নামের ওই ড্রোনটি নজরদারির কাজে ব্যবহার করা হয়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

গত বছরে ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর উড়োজাহাজের মধ্যে এ ধরনের সংঘাতের ঘটনা ঘটল। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রুশ যুদ্ধবিমানের এই কর্মকাণ্ড ছিল ‘বেপরোয়া ও অপেশাদার’। এই ঘটনায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে। পাশাপাশি ওয়াশিংটনও এই ঘটনায় রাশিয়ার নিন্দা জানিয়েছে। এই সংঘর্ষকে রাশিয়ার ‘বেপরোয়া পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইউএস এয়ার ফোর্সের ইউরোপ ও আফ্রিকার কমান্ডার জেনারেল জেমস হেকার বলেছেন, আমাদের এমকিউ-৯ ড্রোনটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় রুটিন অপারেশন চালাচ্ছিল। সেই সময় একটি রুশ বিমান এর সামনে এসে যায় ও ড্রোনটিকে ধাক্কা মারে। ফলে ড্রোনটি ভেঙে পড়ে। রুশদের এই অনিরাপদ ও অপেশাদার কাজের ফলে দুটি উড়োজাহাজ প্রায় বিধ্বস্ত হতে যাচ্ছিল।

মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, এই অঞ্চলে রুশ বিমানের মুখোমুখি হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। প্রায়ই ঘটে থাকে, তবে এই ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ রাশিয়ার এই পদক্ষেপ ছিল অনিরাপদ ও অপেশাদার। প্রকৃতপক্ষে এটি ছিল বেপরোয়া পদক্ষেপ।

তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাশিয়ার বিমান কোনো অস্ত্র ব্যবহার করেনি বা ড্রোনটির সংস্পর্শে আসেনি। ক্রিমিয়া উপদ্বীপের কাছে কৃষ্ণসাগরের ওপর একটি মার্কিন মানববিহীন ড্রোন শনাক্ত করে রাশিয়া।

যা রুশ সীমান্তের দিকে যাচ্ছিল। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জন্য রাশিয়া যে অস্থায়ী আকাশপথ তৈরি করা হয়েছে, ড্রোনটি তা লংঘন করছিল। ওই ড্রোন চিহ্নিত করার জন্য যুদ্ধ বিমান পাঠায় রাশিয়া। কিন্তু বাক বদল করতে গিয়ে এমকিউ–৯ ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাগরে পড়ে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ