রংপুরে আ.লীগ কর্মী হত্যা বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ

রিয়াজুল হক সাগর,রংপুর প্রতিনিধিঃ

রংপুরের কাউনিয়ায় আওয়ামী লীগ কর্মী সোনা মিয়ার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় লোকজন।

আজ বুধবার বিকেলে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মীরবাগ এলাকায় কাউনিয়া উপজেলাবাসীর ব্যানারে বিক্ষোভ শেষে রংপুর কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষোভকারীরা। এ সময় বিকেল পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত রংপুরের সাথে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্ৰামের যান চলাচল বন্ধ ছিল।

পরে বিক্ষোভ কারীরা মীরবাগ বাসস্ট্যান্ড কদমতলা এলাকায় সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন সরকার, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলতাব হোসেন, কুর্শা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম, সম্পাদক আবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ হিরু, হারাগাছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়াসিন আলী বাবু, সম্পাদক মেনাজ উদ্দিন, নিহত আওয়ামী লীগ কর্মী সোনা মিয়ার ছেলে আখতারুজ্জামান আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী ও স্থানীয় লোকজন।

বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। নিহতের ছেলে আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসীদের বিচার চাই। যারা নির্মমভাবে আমার বাবাকে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।

হারাগাছ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইয়াসিন আলী বাবু বলেন, যদি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করা হয় তাহলে আমরা আবারো সড়কে নামবো এবং বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

কাউনিয়া থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত ও মামলা তদন্তকারী ফরহাদ মন্ডল জানান, সোনা মিয়া হত্যার প্রতিবাদে দলীয় নেতা কর্মীরা, স্থানীয় লোকজন ও নিহতের স্বজনরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে করে। পরে তারা নিজেরাই সড়ক থেকে সরে যায়।

উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল সোমবার বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রীর ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রী এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম মায়া নামে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা স্লোগান দেয়। এ সময় অনুষ্ঠানে স্লোগান দেওয়া নেতা কর্মীদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ও তার সমর্থকরা মারপিট করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন রাত আটটার দিকে আওয়ামী লীগ কর্মী সোনা মিয়া হত্যার ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে গত ২৬ এপ্রিল বুধবার দুপুরে সোনা মিয়ার ছেলে আখতারুজ্জামান বাদী ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ও তার ভাই হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ সহ ৭৬ জনের নামে এবং ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর থেকে গত বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এ ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ