কর্ণফুলী ১১নং মাতব্বর ঘাটের দূর্রাবস্থা আশু সংস্কার জরুরী

হোসেন বাবলা,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

চট্রগ্রামের পতেঙ্গা-১১নং মাতব্বর ঘাটের অবস্তা ঝরাজীর্ণ ও মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে নৌ-যাত্রী পারাপার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

নগরীর ৪১নং ওয়ার্ডর পতেঙ্গা অংশে এবং ১১নং কর্ণফুলী অংশ মাতব্বর ঘাটের নৌ যাত্রী পারাপারের নানান অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ইজারাদার আঃশুক্কুর অভিযোগ করে জানান, বিগত ৩ বছর আগে রাতের আধারে একটি মালবাহি রাইটার জাহাজের আঘাতে নৌ-ঘাটের বেশ কিছু অংশ ভেঙ্গে নিয়ে নদীতে বিলিন হলেও এখনো পর্যন্ত ভাংগা অংশ মেরামত না হওয়াতে ভয়াবহ বিপদ নিয়ে যাত্রীসাধারণ পতেঙ্গা-১১নং মাতব্বর ঘাট হয়ে আনোয়ারা-পটিয়া এবং কর্নফুলি উপজেলার আংশিক এলাকায় নিয়মিত শহরের পথে যাতায়াত করেছে।

হাজারো চাকুরীজীবী ও পেশাজীবী লোকজন সহজ নৌ-পথ দিয়ে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে। এই বিষয়ে ইজরাদার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) কর্তৃপক্ষ সহ সরাসারি মেয়র কে লিখিত ভাবে বার বার জানালেও আজো কোন প্রতিকার পায়নি বলে জানান ইজারাদার গন।

নিয়মিত পারাপার হওয়া জুলধা ও শিকলবাহা পটিয়া-কর্ণফুলী উপজেলার বাসিন্দারা জানান ঘাটে ৩/৬৪ টি নৌকা-বোর্ট থাকলেও কর্তৃপক্ষ ঘাটের ঝরাজীর্ণতার কারণে ১টির বেশি বোর্ট চালাতে পারছেনা। সে কারণে দূর্ভোগে পড়তে হয় প্রতিনিয়ত পারাপার হওয়া যাত্রীদের।

যা অত্যন্ত কষ্ট দায়ক ও অস্তিকর যন্রনা দায়ক ঘটনা।
এ অবস্থায় মৃত্যুর ঝুঁকিনিয়েই পতেঙ্গা-১১নং মাতব্বর ঘাট ধরে প্রতিনিয়তই জীবণ বাজি রেখে কেয়া পার হচ্ছেন আনোয়ারা-পটিয়া এবং কর্নফুলি উপজেলার হাজার হাজার বাসিন্দা।

ঘাটের বেহাল অবস্থার ব্যাপারে ৪১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী ছালেহ আহমদ চৌধুরীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কয়েকবার গিয়ে দেখে এসেছি, কিন্তু ইজারাদার গন কেউ লিখিত ভাবে আমাকে অবহিত করেনি, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাঝি বলেন এখনো পর্যন্ত একজন পংগু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তাই পতেঙ্গা-৪১নং ও ১১নং মাতব্বর ঘাটের জরাজীর্ণ অবস্থার উন্নয়ন ও জরুরী মেরামতের জন্য সিটি মেয়রের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন ইজরাদার মোঃ আঃ শুক্কুর সওদাগর।

তিনি আরও বলেন আমরা সরকারী সকল নিয়ম কানুন মেনে ঘাট পরিচালনা করার পরে ও এতো সমস্যার কারণ কি? এ বিষয়ে চসিকের, সিনিয়র কর্মকর্তা তৌহিদ এর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। তাছাড়াও, এই দুই অংশের গুরুত্বপূর্ণ মাতব্বর ঘাটের ফি বাড়ানো হলেও সেবা ও নৌ-পারাপারে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোন ব্যবস্থা নজরে আসেন না।

এব্যাপারে কর্ণফুলী জুলধা ইউপি চেয়ারম্যান, দায়িত্বশীল মেম্বার ও প্রতিনিধিদের কোন উদ্যোগ এবং স্থানীয় সরকার, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন কার্যকর উদ্যোগ দেখতে পাওয়া যায় নি।

এছাড়া ঘাটের কিছু দূরে জামতলা বাজার থেকে ফকিরন্নির হাট এবং শিকলবাহা পটিয়া-কর্ণফুলী সংযোগ রোডের বেহাল দশায় নাগরিক সেবার মান খুবই নাজুক অবস্থায় রয়েছে। তাই যতাথত কর্তৃপক্ষ জরুরী ভিত্তিতে ঘাটের ঝরাজীর্ণতা উভয় অংশে মেরামত ও সংস্কার করতে বিশেষ আরজ করছি।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ