নূন্যতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণার দাবিতে নিউ মার্কেট চত্বরে শ্রমিক সমাবেশ ও মিছিল

হোসেন মিন্টুঃ

বাজার দরের সাথে সংগতি রেখে গার্মেন্টস শ্রমিকদের নূন্যতম মূল মজুরি ঘোষণা, অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল নামে। অগণতান্ত্রিক ও শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী বিল সংসদ থেকে প্রত্যাহার, কল্যান তহবিল গঠন, রেশনিং ব্যবস্থা চালু, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, কথায় কথায় শোকজ-সাসপেন্ড, উৎপাদন বৃদ্ধির নামে গালা-গালি, মারধর ও চাকুরিচ্যুত বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে ২৫ আগস্ট শুক্রবার বিকাল ৩টায় যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাৎ হোসেন ইমরান এর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ শাহ আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ, চট্টগ্রাম জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মামুন, চট্টগ্রাম জেলা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি মোহাম্মদ রিপন, মোহরা এ্যাপারেলস শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি জ্যোৎস্না বেগম, বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, মনছুরাবাদ এলাকা কমিটির সদস্য মোঃ সুমন প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সস্তা শ্রম লুট করার জন্য সাম্রাজ্যবাদী দেশ গুলো আমাদের দেশে গার্মেন্টস, ইপিজেট সহ বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা গড়ে তোলে। আজ গার্মেন্টস শিল্প রপ্তানী আয়ের সিংহভাগ যোগান দে। অথচ গার্মেন্টস এর ৪২ লক্ষ শ্রমিকদের জীবন অত্যন্ত মানবেতর ভাবে কাটাতে। ২০১৮ সালের সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি অনুযায়ী একজন গার্মেন্টস শ্রমিকের নূন্যতম মোট মজুরি ৮,২০০/- টাকা। অথচ ১৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত শ্রমিকদের শ্রম মান বৃদ্ধি হয়েছে ডবল বা উৎপাদন বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ রপ্তানিও বেড়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। যে মজুরি পায় তা দিয়ে একজন শ্রমিক পরিবার ১০ দিনও চলতে পারেনা। গার্মেন্টস শ্রমিকদের জীবনমান উন্নত না করে সরকার যে উন্নয়ন এর কথা বলে তা হাস্যকর। তাই সকল শ্রমিকদের প্রতি আমাদের আহ্বান ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম ছাড়া কোনো দাবি আদায় হয়না। বাঁচার মত নূন্যতম মূল মজুরি ২০ হাজার টাকা আমরা যে দাবি করছি তা দিয়ে একজন শ্রমিক চলতে পারবেনা। এরপরও সরকার ও মালিকরা গড়িমসি করছে। সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান আমরা বেশি কিছু চাই নাই, মাত্র ২০ হাজার টাকা মজুরি দাবি করছি। আমাদের দাবি মেনে নিন। না হলে আমরা রাজপথে আছি, রাজ পথে থাকবো এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ লাগাতার আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সবাইকে আহ্বান জানানো হয়। সমাবেশ শেষে এক মিছিল দোস্ত বিল্ডিং চত্বর থেকে শুরু হয়ে পুরাতন রেল স্টেশন ঘুরে পুনরায় দোস্ত বিল্ডিং এসে শেষ হয়।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ