নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হলে আর কোন ছাড় নয়

হোসেন মিন্টুঃ

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, রাজপথে থেকেই আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রী হয়েছি। এই যাত্রা পথে কেউ যদি রেড সিগন্যাল দেয় তাদের বিরুদ্ধেও আমরা আরেকটি রেড সিগন্যাল জারি করতে বাধ্য হবো। তিনি গতকাল সন্ধ্যায় দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জন-জীবন যাত্রা স্বাভাবিক আছে। বিএনপি জামাতের কথিত অবরোধ কর্মসূচীতে এমন কিছু অগ্নিসন্ত্রাসী ঘুরছে তাদের নাম ঠিকানা ইতোমধ্যে প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছি। প্রশাসন অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবেই। তাই নির্বাচনী ট্রেনযাত্রা শুরু হয়ে গেছে। এই ট্রেনে যদি বিএনপি না উঠে তাহলে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হলে আর কোন ছাড় নয়। তিনি আরো বলেন, নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন জনজীবন স্বাভাবিক রেখে আপনারা রাষ্ট্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রতি বঙ্গবন্ধুর তনয়া শেখ হাসিনার প্রতি যে আস্থা রেখেছেন এতে আপনারা সত্যিকার অর্থেই দেশপ্রেমের অবদান রেখেছেন। বিএনপি-জামাত মানবতা ও স্বাধীনতা বিরোধী। এদের হাতে খুন ও কলঙ্গের দাগ রয়েছে। এটা জনগণ জানে। বিএনপি নির্বাচনে আসবে না। তারা যতবারই ক্ষমতায় এসেছে সু² কারচুপি ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপি জামাত সন্ত্রাসী জোট তাদেরকে জনগণ দেবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সচেতন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আমেরিকায় গ্যাস রপ্তানির প্রস্তাবনাকেপ্রত্যাখ্যান করেছিলেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন আমাদের জনগণের চাহিদা রক্ষা করেই আরো ৩০ বছর যাতে গ্যাস মজুদ থাকতে পারে তার পর বিবেচনা করবো গ্যাস রপ্তানি করা যাবে কিনা। শেখ হাসিনার এই দেশপ্রেমসূলভ প্রস্তাবনা আমেরিকার পছন্দ হয়নি। তাই ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় যেতে দেয়া হয়নি। এবার সেই খেলা চলবে না। কারণ জনগণ বুঝে গেছে নৌকা ছাড়া বাঙালির আর কোন নির্বাচনী প্রতীক নেই। এই উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার নৌকা প্রতীক শেখ হাসিনা যাকেই দিয়েছেন তাকেই বিজয়ী করা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সিদ্ধান্তসমূহ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন। সিদ্ধান্তসমূহের মধ্যে রয়েছে আগামী ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে জামায়েত এবং সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সাথে নিয়ে কোর্ট বিল্ডিংস্থ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে মনোয়ন পেশ। আগামী ১৪ বৃহস্পতিবার ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ফয়েজলেকস্থ বদ্ধভূমিতে সকাল ১১ টায় শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন। ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার প্রয়াত সাবেক সফল মেয়র, বীর চট্টলার অহংকার, চট্টলবীর আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, বেলা ১১টায় আলোচনা সভা, ১৬ ডিসেম্বর শনিবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঐতিহাসিক লালদিঘীর ময়দানে সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্র প্রদর্শনী বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, এম. জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, কোষাধ্যক্ষ আচদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শফিকুল ইসলাম ফারুক, সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, হাজী মোঃ হোসেন, জালাল উদ্দীন ইকবাল, জোবাইরা নার্গিস খান, আবু তাহের, উপপ্রচার সম্পাদক শহিদুল আলম, উপদপ্তর সম্পাদক জহর লাল হাজারী, নির্বাহী সদস্য আবুল মনছুর, সৈয়দ আমিনুল হক, গাজী শফিউল আজিম, কামরুল হাসান বুলু, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, মহব্বত আলী খান আব্দুল লফিত টিপু, হাজী রোটারিয়ান মোঃ ইলিয়াছ, ড. নিছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, হাজী বেলাল আহমেদ, মোর্শেদা আক্তার চৌধুরী প্রমুখ।