কৃষক কৃষাণি আশ্বিনের নতুন ধান কেটে ঘরে তোলার উৎসবে মাঠে ব্যস্ত দিন পার করছে
মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার কৃষকরা এখন মাঠে কর্মব্যস্ত দিন পাড় করিতেচ্ছে, তারা এখন সারা দিন মাঠে আশ্বিনের ধান “ফুল বাদাম ” এ নতুন ধান কাঁটা থেকে শুরু করে ধান মাড়াই এর কাজে ব্যস্ত সময় কাটাছেন।গজারিয়ার প্রতিটি ইউনিয়নের কৃষকদের মাঝে আশ্বিনের ধান কাঁটার উৎসব চলছে। তারা আনন্দের সাথে ফসলী জমির নতুন ধান খেতে ভোর সকাল থেকে সন্ধ্যারাত্রি পর্যন্ত জমিতে ধান কাঁটছে এবং নানা কাজে ফসলি জমিতে লিপ্ত রয়েছে। এখন গজারিয়ার প্রতিটি কৃষক কৃষাণির কর্মব্যস্ততার মধ্যে তাদের সারা দিন অতিবাহিত করছেন দিনের বেশির ভাগ সময় কৃষান কৃষাণি এখন ঘরের বাহিরে জমিতেই কাজ করছে। গজারিয়ার টেংগারচর ইউনিয়নের কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, এবার তাদের টেংগারচর গ্রামে আশ্বিনের ধান “ফুল বাদাম “ও বিয়ার ২৮ নামে ধানটির চাষ এবং ফলন ভালো হয়েছে। তারা এখন সারা দিন মাঠে এ নতুন ধানের জমিতে ধান কাঁটা এবং মাড়াই নিয়ে শত ব্যস্ততার মাঝে দিন যাচ্ছে। জমি থেকে এ আশ্বিনি ফুল বাদাম জাতের ধান কেঁটে মাঠে রাখার পর, কৃষকের পাশাপাশি কৃষাণিদের কাজ বেড়ে যায় দ্বিগুন। ধান মাড়াই থেকে শুরু করে, ধান পরিষ্কার করা, ধান এবং খড় শুকানো এবং ঘরে না তোলা পর্যন্ত কৃষকের সমান কাজ করতে হয় কৃষাণিদেরও। রোদে তাদের মুখ হাত পা কালো হয়ে গেলেও, কৃষক কৃষাণিদের মুখে মিষ্টি হাসি। এ হাসির রহস্য হচ্ছে , তারা এখন যতই না কষ্ঠ করুক, তাদের সে কষ্ঠ শরীরে লাগবেনা।

তাদের কাংখিত শষ্যদানা তাদের জমি থেকে এখন ঘরে তোলার পালা সে জন্য তাদের সকলের মুখে মিদু হাসি। এ রোদ তাদের নৃত্তদিনের সংঙ্গী। তাই এখন গজারিয়ার সকল কৃষক কৃষাণির মুখে হাসি। গজারিয়ার প্রায় প্রতিটি মাঠের দিকে তাকালে দেখা যায়, কৃষক কৃষাণি আপন মনে আশ্বিনির নতুন ধান “ফুল বাদাম” ও বিয়ার আটাশ জমি থেকে কেঁটে ঘরে তোলার কাজে কর্মব্যস্ত দিন পার করছে। কেউ ধান পরিষ্কার করছেন, কেউ খড় শুকাচ্ছে, কেউ ধান মাড়াই এর কাজ করছে। টেংগারচর ইউনিয়নের কৃষক মুহাম্মদ আব্দুল কাদির জানান, তাদের ইউনিয়নে এবং গ্রামে গত বছরের চাইতে এবার আশ্বিনি ধানের চাষ বেশি হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি আরো জানান, আশ্বিনি ধান চাষ করতে বেশি খরচ লাগেনা বিধায় লাভ বেশি সে জন্য বিগত বছর গুলোর চাইতে এবার গজারিয়ায় আশ্বিন মাসের আশ্বিনি ধান মানে “ফুল বাদাম ও বিয়ার আটাশ এবং আরো কয়েক ধরনের ধান চাষ হয়েছে এবং অধিক ফলন ও পেয়েছে তারা। তিনি আরো জানান, বিভিন্ন পাখির উৎপাতে কিছুটা খতি হয়েছে তাদের তবে জমি থেকে পাখি ধুরে রাখতে পাড়লে ফসল আরো ভালো পাবে বলে জানান। আশ্বিনি ধান চাষে নেই সারের তেমন খরচ অনেকে হালকা সার ব্যবহার করে আবার কেউ করেনা। আশ্বিনি ধান আলু তুলার পর পর জমিতে ছিটিয়ে দিলেই হয় এর জন্য পানি, সার এবং পরিচর্যার জন্য ও অতিরিক্ত তেমন কোনো খরচ নেই এবং ধান ও খড় দিয়ে আশ্বিনি ধান চাষ কৃষকদের বেশ লাভবান হওয়ায় গজারিয়ায় এ ধান চাষের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান কৃষক আব্দুল কাদির।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ