চাঞ্চল্যকর সুমন হত্যার রহস্য উদঘাটন ঘাতক গ্রেফতার
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার কানছগাড়ীতে চাঞ্চল্যকর খায়রুল ইসলাম সুমন নামের কার চালক হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের কানছগাড়ী এলাকায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সুমন ড্রাইভারকে। হত্যার পর থেকে পুলিশ সুমনের হত্যাকারী ঘাতকদের আটক করতে মাঠে নামে। এরই ধারাবাহিকতায় (৩ অক্টোবর) রবিবার দিবাগত রাতে বগুড়ার গোয়েন্দা শাখা পুলিশ টিম ডিবি ও বনানী পুলিশ ফাঁড়ীর সদস্যরা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়ার কাহালুর মুড়ইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। হত্যাকারী বাবু সে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সোনারায় এলাকার আব্দুস সামাদের পুত্র। গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে সুমনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। প্রস্রাব করা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে হত্যা করা হয় বলে বাবু পুলিশকে জানায়। বাবু আটকের পর সে জানায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সুমন শহরের কানুছগাড়ী এলাকায় রাস্তায় প্রাইভেট কার থামিয়ে পাশে একটি গ্যারেজের ফাঁকা জায়গায় প্রস্রাব করে। এটা নিয়েই সুমন ও বাবু মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে সুমন সেখান থেকে তার গাড়ীর দিকে চলে যায়৷ এদিকে বাবু এঘটনার জের ধরে তার এক সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষোভের বসে সুমনের ওপর হামলা চালায়।

তারা প্রথমে সুমনের গাড়ীর গ্লাস ভেঙে তাঁকে ছুরিকাঘাত করে গাড়ী থেকে বের করার চেষ্টা করে। এসময় সুমন গাড়ী থেকে বের হয়ে প্রাণ বাঁচাতে দৌঁড়ে পাশেই উপশম ডায়াগনেস্টিক সেন্টারের ফার্মেসিতে প্রবেশ করে। এ সময় বাবু ও তার সহযোগী তাঁকে ধাওয়া করে ফার্মেসির ভিতরে ঢুকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে লোকজন সুমনকে হাসপাতালে নিলেও অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনে সে মারা যায়। সোমবার দুপুরে বগুড়ার এসপি কার্যালয়ে পুলিশ সুপার সুদিপ কুমার এক প্রেস ব্রিফিং এ সাংবাদিকদের এই তথ্য অবহিত করেন। তিনি জানান , আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হবে।
নিহত খায়রুল ইসলাম (অরফে) সুমনের বাড়ি রংপুর সিটিকর্পোরেশন এলাকার সাতগাড়া মিস্ত্রীপাড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের আব্দুল খালেকের পুত্র। সে বগুড়ার সাবগ্রামে বাড়ি ভাড়া নিয়ে পরিবর নিয়ে বসবাস করে আসছিল।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ