নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম “আকাশছোঁয়া” নিম্ন আয়ের মানুষ দিশেহারা
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
শিল্প ও বাণিজ্যিক শহর-বন্দর নওয়াপাড়ায় নিত্য প্রয়োজনীয় ও পণ্য দ্রব্য-সামগ্রীর মূল্য অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অভয়নগরে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধিতে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বিশেষ করে কর্মজীবী মানুষের পক্ষে দেখা দিয়েছে নাভিশ্বাস। সরেজমিনে দেখা যায়, ভোজ্যসামগ্রীর অন্যতম বৃহৎ মোকাম নওয়াপাড়া বড় বাজার গিয়ে পাওয়া গেছে এর সত্যতা। জানা গেছে, ২ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের পূর্বমূল্য ছিলো ১৪০টাকা, বর্তমান মূল্য ১৫০ টাকা। প্রতি লিটারে বৃদ্ধি পেয়েছে ১০টাকা, চিনির প্রতি কেজি পূর্বমূল্য-৭৫টাকা, বর্তমান মূল্য ৮০টাকা। প্রতি কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ টাকা। মুসুরির ডাল পূর্বমূল্য-৭৫টাকা, বর্তমান মূল্য-৯০ টাকা। প্রতি কেজিতে বৃৃৃদ্ধি পেয়েছে ১৫ টাকা। ছোলার ডাল পূর্বমূল্য-৬৬ টাকা, বর্তমান মূল্য-৮০ টাকা, প্রতি কেজিতে বৃৃৃৃদ্ধি পেয়েছে ১৪ টাকা৷ বুটের ডাল পূর্বমূল্য-৩৫টাকা, বর্তমান মূল্য ৪২ টাকা৷ প্রতি কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ৭ টাকা। পেঁয়াজের পূর্বমূল্য ৪৫ টাকা, বর্তমান মূল্য-৬০ টাকা, প্রতি কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫ টাকা। কাঁচা ঝালের কেজি পূর্বমূল্য ১২০টাকা, বর্তমান মূল্য-১৮০ টাকা৷ প্রতি কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ৬০টাকা এরকম মূল্য বৃদ্ধির কারনে। সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

এছাড়া ও জ্বালানি গ্যাসের মূল্য বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার পূৃর্বমূল্য ১০৫০ টাকা, বর্তমান মূল্য ১২২০ টাকা। প্রতি সিলিন্ডারে বৃৃদ্ধি পেয়েছে ১৭০ টাকা। এ দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে না ধরলে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের বোবা কান্না শেষ পর্যন্ত ক্ষোভের ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিল্প শহর নওয়াপাড়ার মানুষ জীবিকার টানে কাজ করেন। বৃহত্তর শিল্প কল কারখানার সঙ্গেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে কাজ করছেন প্রায় লক্ষ্যধিক মানুষ। এছাড়াও বিভিন্ন অটোরিকশা ও অটো ভ্যান চালিয়ে দিন চলে তাদের। গত বছরে লকডাউন পরিস্থিতির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে। জনপ্রতিনিধি ও সরকারের তরফ থেকে পাওয়া ত্রাণের বাইরে জীবিকার মাধ্যম হারিয়ে বেশির ভাগ নিম্নআয়ের মানুষই খেয়ে-নাখেয়ে দিন কাটিয়েছেন। তবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে ছিলেন মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো। কারণ এসব পরিবারের লোকজন মুখ খুলে কাউকে কিছু বলতে কিংবা হাত পাততে পারেননি। সেই লকডাউন পরিস্থিতি কাটিয়ে গত কয়েক মাসে সাধারণ জীবনে ফিরে আসার চেষ্টায় থাকা এসব নিম্ন ও মধ্যম আয়ের পরিবারগুলোর জন্য কঠিন বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি। জুট মিল শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, বাজারের মূল্য বৃদ্ধিতে আমরা দিশেহারা।
কয়েকজন ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, আমাদের বেতন দিয়েই চলতে হয়, বলতে পারেন মাপা টাকা। কিন্তু বর্তমান বাজার দরে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। কাউকে তো কিছু বলতেও পারি না। কিন্তু ক্রয়ের সক্ষমতা হারাতে বসেছে সাধারণ খেটেখাওয়া মানুষ। একই ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর মূল্য। এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুর রহমান বলেন, বাজারে দ্রব্যমুল্যের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে আমি ইতিমধ্যে জেনেছি দ্রুত বাজার মনিটরিংএর মাধ্যমে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ