হারবাং সংরক্ষিত বনাঞ্চলে স্বাস্থ্য সহকারী পরিদর্শক আমজাদ হোসেন চৌধুরীর’র “পাকা ভবন”
হারবাং সংরক্ষিত বনাঞ্চলে স্বাস্থ্য সহকারী পরিদর্শক আমজাদ হোসেন চৌধুরীর’র “পাকা ভবন”
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বনজমি দখলদারদের বিরুদ্ধে বন বিভাগ জিরোটলারেন্সে থাকার ঘোষনা দিলেও মাঠ পর্যায়ে এ ঘোষনা তেমন কার্যকর হচ্ছে না। স্হানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ বনকর্মকর্তাদের গুটিকয়েক ভূমিদস্যুদের সাথে আতাত করায় বনজমি দখলের হিড়িক আগের চেয়ে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।খোজঁনিয়ে দেখা গেছে, চুনতি রেঞ্জ, হারবাং বিভিন্ন বিট অঞ্চলে চলে প্রতিদিন নিত্যনতুন পদ্ধতিতে বনের জমি জবর দখল হচ্ছে।কোথাও কোথাও বনভূমি কেটে সমতল করে পাকা দালান থেকে শুরুকরে পোলট্রি ফার্ম ও নানা স্হাপনা গড়ছে অবৈধ দখলবাজরা।
দখলবাজ চক্র এখন বনভূমি দখলে মহোৎসব চালাচ্ছে সেখানে। গত ৩ বছর ধরে চুনতি-হারবাং এর প্রভাবশালী ভূমিবাজরা বনজমি দখল করেছে দেদারচ্ছে। বনকর্তারা টহলে গিয়ে দখলের এ প্রক্রিয়া দেখেও না দেখার ভান ধরেছে বলে ভয়াবহ অভিযোগ রয়েছে। তাদের আস্কারায় লামার আজিজ নগর ইউনিয়নে কর্মরত সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক আমজাদ হোসেন চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি হারবাং বিট এর অধীনে কোরবানিয়া ঘোনা এলাকায় বনজমি দখল করে, সেখানে পাকা ভবন নির্মাণ করেছেন। বাংলাদেশের একমাত্র বন বিভাগ সংরক্ষণে চলমান প্রকল্প গুলোতে সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে বন ও প্রাণী। এসব বন উজাড় করার কারনে তীব্র খাবার সংকটে বণ্যহাতি আজ লোকালয়ে চলে আসছে। মানুষের ফসলসহ ঘরবাড়ি নষ্ট করছে প্রতিনিয়ত। এমনকি প্রাণও হারাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বনজমিতে ঐ ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে তারা সরকারি বনবাগানের যথেষ্ট ক্ষতি ডেকে এনেছে বলে স্হানীয়দের অভিযোগ। গত কয়েক বছর ধরে চিহ্নিত এই বনভূমি দখলবাজরা দেদারচ্ছে বনভূমি দখল করেছে ও সংশ্লিষ্ট বনকর্তারা তাদের আইন প্রয়োগে রহস্যজনক ভূমিকায়। তবে ঐ বেদখলীয় জমির পাশ্ববর্তী প্রতিবেশিরা বলছেন, সৈকত মন্ডল বিট বনপ্রহরী থেকে শুরু করে, উবর্ধতন কর্তাদের ম্যানেজ করেই বনভূমি দখলের আয়োজন করছে। চুনতি রেঞ্জ এবং হারবাং বিট কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে থাকা শাহীনের বিরুদ্ধেও রয়েছে টাকার বিনিময়ে কাঠ পাচারে সহযোগিতা, পাহাড় কাটায় সহযোগিতা, পুকুর খনন ও নানান অনিয়মমের অভিযোগ। দখলবাজ একজন সরকারি চাকুরীজীবি সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক এর পাশাপাশি, সে এখন বনভূমির দখলবাজ।হারবাং বিট এলাকায় প্রতিনিয়ত চলছে, তাদের এমন ধ্বংসযঙ্গ বনজমি দখলে। তাদের বিরুদ্ধে দখলবাজির ভূরিভূরি অভিযোগ বনকর্তাদের কানে গেলেও বন আইন প্রয়োগে তারা নিরব। বনকর্তাদের এমন নিরবতায় শুধু নয়, অনেক বনখেকো প্রভাবশালী তাদের দখল স্হায়ী করতে, নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানাযায়। স্হানীয় পরিবেশবাদী সচেতন মহল আরো জানিয়েছে হারবাং এলাকায় এখন এসব ভূমিদস্যুদের দোর্দন্ড প্রতাপ।মোটা অংকের নজরানা পেয়ে বনকর্তারাও ভূমিদস্যুদের কাছে আইনপ্রয়োগ বিহীন আত্নসমর্পণ করছে প্রতিদিন। সরজমিনে গিয়ে বনজমিতে ভবন নির্মাণে অভিযুক্ত সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক আমজাদ হোসেন চৌধুরী এর কাছ জানতে চাইলে তিনি জানান, অনেকেই তো বন জমি দখল করেছে আমি তাদের কাছ থেকে নিয়েছি। আপনি একজন সরকারি চাকুরীজীবি হয়ে কিভাবে সরকারি রিজার্ভ বন জমি দখল করলেন বলা মাত্র ফোন কেটে দেন। এ প্রসঙ্গে চুনতি রেঞ্জ কর্মকর্তা ও হারবাং বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা শাহিনুর বিপ্লব বলেন, পাকা ভবন নির্মাণ হচ্ছে সরকারি রিজার্ভ বনভূমিতে সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি কি করতে পারি। এ বিষয়ে চট্রগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ সফিকুল ইসলাম এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি।