দুর্নীতির সংবাদ সংগ্রহ করায় সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নারী সাংবাদিক এলাকা ছাড়া
দুর্নীতির সংবাদ সংগ্রহ করায় সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নারী সাংবাদিক এলাকা ছাড়া
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বরিশালের কাউনিয়া শাহাজান কন্ট্রাক্টর বাড়ির সামনে ওএমএসের ডিলারের অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহ করায় ডিলার মহি উদ্দিনের ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকি-ধমকিতে দেশ কালান্তর নিউজ পোর্টালের বরিশাল বিভাগীয় প্রতিনিধি আসমা আক্তার এলাকা ছাড়া। বর্তমানে তিনি কাউনিয়া ছেলে অন্যত্বে বসবাস করছে। সৃষ্ঠ ঘটনা সাংবাদিক সমাজে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সুত্রে জানায়, সরকারী বিধিমেতাবেক পৌর এলাকাতে জনপ্রতি ৩০টাকা ধরে ৫ কেজি করে চাল হতদরিদ্র পরিবারে বিক্রি করবে সরকারী তালিকাভুক্ত ডিলার। কিন্তু কাউনিয়া টেক্সটাইল মোড় এলাকার শাহাজান কন্ট্রাক্ট্রর বাড়ির সামনে ওএমএস ডিলার মহিউদ্দিন সরকারী বিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে নাম মাত্র দরিদ্রদের মাঝে চাল বিক্রি করে সম্পুর্ন চাল কালো বাজারে বিক্রি করছে দীর্ঘদিন যাবত। স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী ও ভোক্তভুগীদের অভিযোগে দেশ কালান্তর বিভাগীয় প্রতিনিধি আসমা আক্তার ৪ অক্টোবর বেলা ১টার দিকে ঘটনা স্থলে পৌছে দেখতে পায় ডিলার মহি উদ্দিন স্বচ্ছ পরিবারের মাঝে ৫ কেজির স্থলে ১০ কেজি চাল ৪০০ টাকা এবং ৫০ কেজি চালের বস্তা ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা মুল্যে বিক্রি করছে। তথ্য সংগ্রহ কালে মহি উদ্দিন সাংবাদিক টের পেয়ে তার ভাড়াটে সন্ত্রাসী শাহ আলম, হারুনকে খবর দেয়। খবর পেয়ে শাহ আলম ও হারুনের নেতৃত্বে কয়েকজন দুস্কৃতিকারী ঘটনাস্থলে পৌছে সাংবাদিক আসমা আক্তারকে অবরুদ্ধ করে। দীর্ঘ এক ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর স্থানীয় লোকজনের সহায়তা সাংবাদিক আসমা মুক্ত হয়। রাতে ওই দুস্কৃতিকারীরা সাংবাদিক আসমা আক্তারকে লোকজন ও মুঠোফোনে নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। সৃষ্ঠ ঘটনায় সাংবাদিক আসমা আক্তার বাদি হয়ে ৫ অক্টোবর বিকেলে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি জিডি করেন। জিডি নং-১৮৬ তাং-৫/১০/২০২১। এতে মহিউদ্দিন ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা আরো ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে। পরিস্থিতি খারাপ দেখে আসমা আক্তারের বাসার মালিক রাতেই আসমাকে বাসা ছেড়ে দেওয়ার নিদের্শ দেয়। ফলে ৭ তারিখে তড়িগড়ি করে আসমা আক্তার বাসা ছেড়ে অন্যত্বে ভাড়া বাসাতে উঠে। এব্যাপারে জানতে চাইলে দেশ কালান্তর অফিস থেকে ডিলার মহি উদ্দিনকে একাধিকবার ফোন করলে তিনি বলেন, আপনার সাথে আমি পরে কথা বলবো।