বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে চট্টগ্রাম জেলা ছাত্র ইউনিয়নের আলোকচিত্র প্রদর্শনী
হোসেন মিন্টুঃ
আজ ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২১ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে সকালে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে ও চেরাগী পাহাড়ে বধ্যভূমি প্রাঙ্গণে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সচিত্র জীবনীভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন হয় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম জেলা সংসদ। এর আগে পাহাড়তলী বধ্যভূমি সৌধে ছাত্র ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম জেলা পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করে।পুষ্পাঞ্জলি অর্পণকালে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি এ্যানি সেন, চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক ইমরান চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলার শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক নিশান রায়, পাহাড়তলী থানার সভাপতি অভিনাশ রায়, হালিশহর থানার সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান আরিফ ও সদস্য সাজ্জাতুর জামান অভি ও অনান্য থানার সদস্য ও কর্মীগণ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের সাড়ে ৭ বছর পার হলেও চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পাহাড়তলী বধ্যভূমি সংরক্ষণের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। মূল বধ্যভূমিতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউএসটিসি অবৈধভাবে একটি ভবন নির্মাণ করেছে। অবিলম্বে এই ভবন উচ্ছেদ করে বধ্যভূমিটিকে সংরক্ষণ করতে হবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আজ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরিচয় ও তাঁদের মতাদর্শ সম্পর্কে দেশের নতুন প্রজন্মকে জানানো অত্যন্ত জরুরি। শাসকগোষ্ঠী চায় না শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করা হোক। যে কারনে ১৪ ডিসেম্বরের যাবতীয় পালনের ক্ষেত্রে শহীদদের নাম ও পরিচয় যথাসম্ভব উহ্য রাখে। এমন কি রাষ্ট্রীয়ভাবে যেভাবে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস গুরুত্বের সঙ্গে পালন করার কথা সেভাবে করা হয়না৷ পাঠ্যপুস্তকেও নেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের কথা। এর কারণ, তাঁরা প্রায় সবাই বামপন্থী রাজনৈতিক দর্শনে তথা প্রগতিশীল ছিলেন। একাত্তরে তাঁদের যে তালিকা তৈরি করা হয়, সেটাও ছিল যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) পৃষ্ঠপোষকতায়। মূলত স্বাধীন বাংলাদেশ যাতে কোনো দিন শোষণ-বৈষম্যহীন সাম্যবাদী সমাজে পরিণত হতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেই এই সূর্যসন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল। আজ বাংলাদেশের দিকে তাকালে বোঝা যায়, সাম্রাজ্যবাদীদের সেই পরিকল্পনা সফল হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ